প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। যেখানে লেখা থাকছে, আমরা দাদার অনুগামী। স্বাভাবিকভাবে এই দাদার অনুগামী কারা, তার রহস্য উন্মোচন করতে ব্যস্ত তৃণমূল নেতৃত্ব। এতদিন রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, যেহুতু শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের নেতা, সেহেতু তৃণমূলে থাকা তার অনুগামীরাই দাদার অনুগামী বলে বিভিন্ন যায়গায় শুভেন্দুবাবুকে মুখ করে পোস্টার লাগাতে শুরু করেছেন। কিন্তু এবার এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএমের এক কর্মী জড়িত বলে একটি খবর প্রকাশ্যে চলে এলো। যার ফলে এখন ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

তৃণমূলের একাংশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটাতে বৃহস্পতিবার সিপিএমের এক কর্মীকে দাদার অনুগামী কাটআউট তৈরি করার জন্য তারা ধরতে পেরেছে। এক্ষেত্রে সেই সিপিএম কর্মীরা তার অনুগামী কাটআউট তৈরি করার অর্ডার দিয়েছিলেন বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের। যদিও বা সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে ব্যবসায়ী বলে দাবি করা হয়েছে। আর এই ঘটনা নিয়েই কার্যত শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূলের একাংশ দেখতে পান যে চাঁদপাড়া কাঠপট্টি মোড়ে একটি দোকানে দাদার অনুগামী লেখা ফ্লেক্সের জন্য এক কাঠমিস্ত্রি কাঠের ফ্রেম তৈরি করছেন।

আর তখনই তারা জানতে চান, কে এই ফ্লেক্স তাদেরকে তৈরি করতে দিয়েছে? আর তখনই পার্থ সাহা নামে এক ব্যক্তির নাম বলেন সেই কাঠের মিস্ত্রী। পরবর্তীতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই পার্থ সাহা নামে সিপিএম কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীর এই দাদার অনুগামী পোস্টার লাগানোর পেছনের সিপিএমের একাংশের মদত রয়েছে! এখন তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে।

এদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা তাপস দাস বলেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত দুর্বল করতে এবং তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে সিপিএম এবং বিজেপি টাকার বিনিময় পার্থকে দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে।” যদিও বা এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলে যোগ সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে গিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা সিপিএমের সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, “বামপন্থীরা মানুষের রুটিরুজি জীবিকা অধিকারের দাবি নিয়ে রাজনীতি করে ভোটের জন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাজনীতি করে না। এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএমের কোনো যোগ নেই।”

অন্যদিকে তৃণমূলের তোলা অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিও। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন, “বিজেপির কারও বিরুদ্ধে চক্রান্ত করার প্রয়োজন হয় না। মানুষ ঠিক করে নিয়েছে। আগামী দিনে বিজেপি আসছে। পার্থকে আমরা চিনি না।” এদিকে যাকে নিয়ে এত সমস্যা, সেই পার্থবাবু অবশ্য নিজেকে ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা নিয়ে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটা এলাকায়। এতদিন শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে যেভাবে এই ঘটনায় সিপিএম জড়িত বলে দাবি করা হল, তাতে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হল রাজ্যে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।