প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার তৃণমূলের খুঁটি যে একটু নড়বড়ে সেটাই বলতে শোনা গিয়েছিল রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। অন্যদিকে, সেখানে কারণ হিসেবে দলের গোষ্ঠী কোন্দল থেকে শুরু করে পিকের বিরুদ্ধে দলের বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীদের অসন্তোষের কথা বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁদের। তবে এরই মধ্যে দলের আরো এক বিধায়কের সঙ্গে দলের অন্যান্যদের দূরত্ব বাড়ছে বলেই জল্পনা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে সমেই ঘটনা যে বর্তমান পরিস্থিতিতে দলকে আবারও জল্পনার মধ্যে ফেলবে, সেটা বলাই বাহুল্য।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে হাওড়ার বালিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া বেশ কিছু পোস্টার ঘিরে জল্পনা শুরু হয়। কারণ, সেখানে নির্বাচনের প্রচারে বালি থেকে কোনও বহিরাগতদের প্রার্থী না করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। যদিও তাতে কারও নাম ছিল না। তবুও এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

তবে এই ঘটনার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন যে, বাংলা, হিন্দি, উর্দু ভাষায় যেহেতু একাধিক পোস্টার লেখা হয়েছে, তাতে তার মাধ্যমে বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকেই উদ্দেশ্য করা হয়েছে। কারণ কলকাতাবাসী ওই বিধায়কের কাজে দলের স্থানীয় কর্মী, সমর্থকরা যে খুশি নন সেই কথায় বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁদের।

যদিও সেই সময় এই প্রসঙ্গে অন্য কথা বলতে শোনা গিয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক বৈশাখী ডালমিয়াকে। সেই সময় তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকেই বহিরাগত বলা হচ্ছে, আমি কোন ছাড়।” আর সেখানেই প্রশ্ন ওঠে যে তবে কী খোদ বিধায়কেরই দলের নেতা-কর্মীদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে? আর তারই মাঝে নতুন ঘটনায় দলের সঙ্গে বিধায়কের দূরত্ব আরও স্পষ্ট হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু ঠিক কি হয়েছিল ঘটনা? জানা গেছে, বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে নিয়ে পোস্টার কাণ্ডের পর সম্প্রতি তাঁকে বাদ দিয়েই বালিতে বৈঠক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে কেন বিধায়ক ছাড়াই বৈঠক করা হল, সে বিষয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। আর তা নিয়ে অশান্তির জেরে পিকের টিমের সামনেই তৃণমূলের একাংশের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতি হয়েছে বলেই জানা গেছে।

বস্তুত, বুধবার বেলুড়ের অগ্রসেন ভবনে পিকের টিমের সদস্যরা ১৬ জন প্রাক্তন কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানে বঙ্গজননী কর্মসূচি নিয়েই আলোচনা চলছিল। জানা যায় সকাল এগারোটা নাগাদ বৈঠক শেষ হওয়ার পর বালির তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মহিলা সভাপতি বিজয়লক্ষ্মী রাও ঘটনাস্থলে যান। সেখানে কেন বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে বাদ দিয়ে সভা করা হল, সেই প্রশ্ন করতে দেখা গেছে তাঁকে।

শুধু তাই নয়, পিকের টিমের সামনে কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধেও সরব হতে দেখা গেছে তাঁকে। এরপরই দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এবং সেটা পরে হাতাহাতিতেও পৌঁছে যায় বলেও জানা গেছে। এখানে বিজয়লক্ষ্মী রাও অভিযোগ করেন যে, তাঁকেই নাকি মারধর করা হয়।

যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ তিনি মিথ্যা কথা বলছেন। সেখানে কিছু কিছু সদস্যকে বিজয়লক্ষ্মী রাওকে বহিষ্কারের দাবিও জানাতে দেখা গেছে বলে জানা যায়। যদিও এই ঘটনায় বৈশালী ডালমিয়া স্তম্ভিত বলেই জানা গেছে। তাঁর কথায়, পিকের টিমের এই ভূমিকায় তিনি সত্যিই অবাক হয়েছেন। সেইসঙ্গে পিকের টিম দলের ভাল চায় নাকি বিভাজন সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাঁকে।