এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হাথরস কাণ্ডে নয়া মোর! গ্রামবাসীদের বয়ানের ভিত্তিতে ঘুরে যাচ্ছে পুরো মামলা? প্রকাশ্যে বড় তথ্য

হাথরস কাণ্ডে নয়া মোর! গ্রামবাসীদের বয়ানের ভিত্তিতে ঘুরে যাচ্ছে পুরো মামলা? প্রকাশ্যে বড় তথ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি যোগীর রাজ্যে ধর্ষণ কাণ্ডের ঘটনায় রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল জাতীয় রাজনীতিতে। দেশজুড়ে তুমুল প্রতিরোধ উঠেছে হাথরাসের ধর্ষণকাণ্ডে। দলিত ধর্ষণকাণ্ডে যেভাবে অভিযুক্তরা দায়ী হয়েছে, ঠিক সেভাবেই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনকে নিয়েও চূড়ান্ত বিতর্ক শুরু হয়েছে।

সারাদেশ উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে। যে ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে এত বিতর্ক, এত প্রতিবাদ সেই ধর্ষণকাণ্ডে এবার চাঞ্চল্যকর মোড়! হাথরাসের গ্রামবাসীদের বয়ান সম্পূর্ণ অন্য ছবি সামনে তুলে আনছে বলে মনে করা হচ্ছে।গ্রামবাসীদের এই বয়ান দেশের বিতর্কিত গণধর্ষণকাণ্ডকে সম্পূর্ণ অন্যদিকে মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে দাবি করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

সম্প্রতি তদন্তের স্বার্থে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের পুননির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তের মিসিং লিঙ্ক খুঁজতে ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত চারজনকেই হাজির করানো হবে বলে খবর। অন্যদিকে এই গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এই ঘটনায় সন্দীপ বলে যে যুবক প্রধান অভিযুক্ত হয়েছে, তাঁর সাথে ধর্ষিতা ও নির্যাতিতার বন্ধুত্ব ছিল। প্রায়ই তাঁদের কথা বলতে দেখা গিয়েছে।

আর এই খবরের সত্যতা যাচাই করতেই এখন উঠে পড়ে লেগেছে তদন্তকারীরা। ঘটনার সূত্রপাত- গত 14 সেপ্টেম্বর। 19 বছরের দলিত এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে চার অভিযুক্ত। 29 সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। তারপরেই সারা দেশজুড়ে আগুন জ্বলে ওঠে। তদন্তকারীরা এবার তদন্তের স্বার্থে ওই ধর্ষণের ঘটনার পুননির্মাণ করে সম্ভাব্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টায়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে চারটি কাস্তে এবং একটি চটি খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং তা থেকে পরিষ্কার- অন্তত চারজন শস্য কাটার জন্য সেই সময় এলাকায় উপস্থিত ছিলেন। তাই এই ধর্ষণকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার মা এবং দাদার বিস্তারিত বয়ান রেকর্ড করা হবে এবং তা থেকেই ঘটনার পুননির্মাণ হবে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকার হাথরাস ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তভার এবার তুলে দিচ্ছে সিবিআই এর হাতে। কিন্তু তাও পুলিশ সম্ভাব্য প্রমাণ জোগাড় করে রাখছে।

অন্যদিকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত সন্দীপ দাবি করেছে, 19 বছরের তরুণীর মৃত্যুর জন্য দায়ী তাঁর পরিবার। অন্যদিকে মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দাবি করেছে, সন্দীপের সঙ্গে নির্যাতিতার দাদার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। পুলিশের এই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে নির্যাতিতার দাদা। অন্যদিকে সন্দীপের সঙ্গে তরুণীর বন্ধুত্ব ছিল বলে গ্রামবাসীদের যে বয়ান পাওয়া যাচ্ছে, তা তদন্তের গতিমুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে হাথরাস ধর্ষণকাণ্ডে প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির থেকে দেশের প্রতিটি মহল।

রাতের অন্ধকারে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে তুমুল ক্ষোভ দেশজুড়ে। অন্যদিকে দলিত তরুণী ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারও রীতিমতো চাপের মুখেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় দলিত তরুণী ধর্ষণকাণ্ডে যেভাবে গ্রামবাসীরা এবার অভিযুক্ত ও তরুণীর সম্পর্ক সামনে নিয়ে আসছেন, তা কিন্তু তদন্তের গতি-প্রকৃতি বদলানোর জন্য যথেষ্ট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!