এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার কেন্দ্রের নয়া তদন্তের মুখে পড়তে চলেছে মমতা, খুব শীঘ্রই এই নিয়ে তদন্তের মুখোমুখি হতে চলেছে নবান্ন

এবার কেন্দ্রের নয়া তদন্তের মুখে পড়তে চলেছে মমতা, খুব শীঘ্রই এই নিয়ে তদন্তের মুখোমুখি হতে চলেছে নবান্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে রাজ্যের প্রকল্প হিসেবে তুলে ধরছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারএই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দীর্ঘ সময় ধরেই এই নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপি নেতা সাংসদেরা। সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে। বিজেপির দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে -গ্রামীণ প্রকল্প বলে নিজেদের নামে চালাচ্ছে। আর এই নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ায় এ বার নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রও।

সূত্রের মতে, বার বার এই অভিযোগ উঠায় এবার নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। বিজেপি নেতাদের করা এই অভিযোগ আদেও সত্যি, সত্যি হলেও এই অভিযোগ কতটা সত্যি তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র থেকে রাজ্যে তদন্তকারী দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। যদিও এই নিয়ে কোনো নড়চড় নেই রাজ্যের। রাজ্য সরকারের দাবি, যা করা হয়েছে নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। অন্যায় কিছু করা হয়নি। সুতরাং তাদরে কোনো ভয় নেই।

গ্রামীণ এলাকায় যাঁদের পাকা বাড়ি নেই তাঁদের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়ার প্রকল্প দীর্ঘ সময় ধরে চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু বিজেপি সাংসদদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য নিয়ে সেই টাকায় যে বাড়ি তৈরি করছে তা রাজ্যের নিজস্ব প্রকল্প বাংলা আবাস যোজনার অন্তর্গত বলে প্রচার চালাচ্ছে। যার জেরে সাধারণ মানুষ ভুল বুঝছেন।
ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ গত মাসে বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হন ।

তিনি অভিযোগ করেন,” প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পের নামে কার্যত লুঠ চলছে রাজ্যে। প্রকৃত উপভোক্তারা কোনও ফায়দা পাচ্ছেন না পশ্চিমবঙ্গে। উল্টে আগে থেকেই নির্মীয়মাণ বাড়ির ছবি দেখিয়ে ওই প্রকল্পের নামে কেন্দ্রের কাছে টাকা আদায় করে নেওয়ার চক্র সক্রিয় রয়েছে।” বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিজেপি কর্মীরা কেবল মাত্র বিরোধী দল করার অপরাধে কেন্দ্রীয় সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এই অভিযোগ কেবল গ্রামীণ আবাস ঘিরেই নয়, জল-বিদ্যুত্‍ বা সড়ক নির্মাণের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যে খাতে টাকা আসছে তা নিজেদের প্রকল্প কৃতিত্ব দাবি করছে রাজ্য সরকার। যাতে হস্তক্ষেপের জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করে আসছিলেন বিজেপি নেতারা। বেশ কিছু রাজ্য যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পাল্টেছে এবং সেই অভিযোগ যে কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েছে তা মেনে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরাঞ্জন জ্যোতি।

তাঁর কথায়, ”এই ধরনের অভিযোগগুলি যথেষ্ট গুরুতর। কেন্দ্র কোনও ভাবেই ওই বেনিয়ম বরদাস্ত করবে না। তাই অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে।”  সূত্রের মতে, পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক কি না তা জানতে চেয়ে রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। যদিও রাজ্যের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে উত্তর দেয় নবান্ন। কিন্তু তারপরেও ধারাবাহিক ভাবে ওই অভিযোগ আসতে থাকায় এ বার কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেবল পশ্চিমবঙ্গেই নয়, অন্য রাজ্যেও ওই দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

সূত্রের মতে, চলতি মাসেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওঠা আবাস সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসবে কেন্দ্রীয় দল। আগে থেকে না জানিয়েই দলটি পশ্চিমবঙ্গে আসতে চায়। তাই ওই দলের আসার দিনক্ষণ আগে থেকেই স্পষ্ট করতে চাননি মন্ত্রক কর্তারা। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী মন্ত্রী পুলক রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা যা করছি তা নিয়ম মেনেই করছি। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাড়ি তৈরি করেছে এ রাজ্যই। মুখ্যমন্ত্রী নিজে নজর রাখেন। আগেও কেন্দ্রীয় দল এসেছিল। এ বারও আসবে।’

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের জল-জীবন মিশনের নাম পরিবর্তন করার অভিযোগ জমা পড়েছে কেন্দ্রের কাছে। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিংহ পটেল সম্প্রতি স্পষ্ট করে দেন, পশ্চিমবঙ্গের মতো কিছু রাজ্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে চালাচ্ছে। তাই যদি হয় তাহলে যেন কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও ধরনের আর্থিক সাহায্যের আশা না করে রাজ্য। সম্প্রতি বিষয়টি চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখওয়াতকে জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই কেন্দ্রীয় সাহায্য বন্ধ করার হুমকি দেন প্রহ্লাদ পটেল।ফলে সব মিলিয়ে যে চাপ বাড়ছে মমতার তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই মত রাজনৈতিকমহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!