এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পাহাড়ে গুরুং ফিরতেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, তারমাঝেই রাজ্যপালের পদার্পণ! আরও চাপে তৃণমূল?

পাহাড়ে গুরুং ফিরতেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, তারমাঝেই রাজ্যপালের পদার্পণ! আরও চাপে তৃণমূল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি গোর্খা নেতা বিমল গুরুং হাত ধরেছেন শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে। তৃণমূলকে সমর্থনের কথা যেমন তিনি জানিয়েছেন, তেমনি তিনি দীর্ঘসময় পর তাঁর পাহাড়ে ফিরে আসার কথাও ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তাঁর পাহাড়ে ফিরে আসার ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়ের রাজনীতি। বিমল গুরুংয়ের বিরোধী বলে পরিচিত বিনয় তামাং শিবির বেশ কিছুদিন ধরেই বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মিছিল ও স্লোগান দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর গতকাল সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি এসে পৌঁছলেন। আজ তিনি যাচ্ছেন পাহাড়ে। গতকাল সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি পৌঁছে তিনি পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, রাজ্যের আইন- শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি চিন্তিত আছেন। সংবিধানের বাঁধন থেকে বেরিয়ে পড়ছে এ রাজ্য। তাঁর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে বিমল গুরুং এর ফিরে আসার ঘোষণার পর থেকেই পাহাড়ের রাজনীতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। পঞ্চমীর বিকেলে বিমল গুরুং প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন ও তৃণমূলকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে পাহাড়ে ফেরার কথাও জানান। এই ঘটনার পর থেকে বিমল গুরুং এর বিরুদ্ধে কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়েকটি মিছিল করতে দেখা গেল বিনয় তামাং পন্থীদের। গতকাল কার্শিয়াং, মিরিকে এরকম মিছিল দেখা গেল। যে মিছিলগুলিতে যথেষ্ট লোক হয়েছিল। এই মিছিলগুলি থেকে বিমল গুরুংয়ের উদ্দেশ্যে ‘গো ব্যাক’, ‘মুর্দাবাদ’ স্লোগান শোনা যায়। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে, বিমল গুরুং শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতেই বিনয় তামাং শিবির তাঁর বিরুদ্ধে তাদের শক্তি প্রদর্শন করছে।

অন্যদিকে রাজ্যপাল ইতিপূর্বে বিমানে যাতায়াত করলেও এবার তিনি ট্রেনে যাতায়াত করেছেন। কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেসের একটি সেলুনকারে করে তিনি গতকাল সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি এসে পৌছলেন। মালদায় ট্রেন দাড়ালে বিজেপি নেতা, সাংসদরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। গতকাল পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি জানালেন, ” আয়করের কাজ করতে পুলিশের কাছে গেলে তো হবে না। সংবিধান থেকে সরে গিয়েছে ৩৭০ ধারা। রামমন্দিরের সমস্যা সমাধান হয়েছে। পাহাড় সমস্যারও চিরস্থায়ী সমাধান হবে— এ নিয়ে আমার মনে কোনও সংশয় নেই।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মালদহের তৃণমূলের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানালেন যে, পরিযায়ী, হাথরস, খাদ্য সূচক ইত্যাদির মত দেশে বহু সমস্যা রয়েছে। সেগুলোর কি সমাধান হচ্ছে, সেটার কথা মানুষ জানতে চায়। এরপর রাজ্যের আইন- শৃঙ্খলা নিয়ে করা রাজ্যপালের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানালেন, ‘‘ সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে উনি ওঁর রিপোর্ট কেন্দ্রে পাঠাবেন। তা না করে রোজই সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। দলের মুখপাত্র হয়ে কাজ করছেন। এটা বাংলার মানুষের তো বটেই এবং সংবিধান বিরোধীও। ’’

প্রসঙ্গত অল্প কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। তারপর তাঁর পাহাড়ে আসার কথা শোনা যায়। পাহাড়ের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি, পাহাড়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানা গেছে। আবার বিজেপির বিভিন্ন নেতার সঙ্গেও তিনি দেখা করতে পারেন বলে জানা গেছে। পর্যটন সমস্যা, চা শ্রমিক ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোঁজ নেবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বিমল গুরুংয়ের পাহাড়ে ফিরে কথা প্রকাশ্যে আসতেই পাহাড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে যথেষ্ট চাপে আছে শাসকদল তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর পাহাড়ে এসে শাসক দলকে যে আরো চাপের মুখে ফেলে দিলেন, সে বিষয়ে একমত বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!