এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পুরনো কর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গীতা ভূঁইয়াকে প্রশ্ন করে বিপাকে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী! জেনে নিন

পুরনো কর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গীতা ভূঁইয়াকে প্রশ্ন করে বিপাকে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিভিন্ন জেলায় নতুন জেলা কমিটি গঠনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাইছে। কিন্তু তৃণমূলের সবথেকে বড় বিড়ম্বনার কারণ দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নতুন কমিটি গঠন হলেও একের পর এক জেলায় এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অপর গোষ্ঠীর বিবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এবার প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে তলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে সতর্ক করতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে সবংয়ের তৃণমূল বিধায়ক গীতা ভূঁইয়ার সঙ্গে অমূল্য মাইতির গন্ডগোল বন্ধ হয়েছে কিনা, তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী।

অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকেও যেভাবে দলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে জানতে চাইলেন এবং উষ্মা প্রকাশ করলেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুঝতে পেরেছেন, তার দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। তাই বিজেপির প্রভাব যখন বাড়ছে, তখন সংগঠনকে শক্তিশালী করার বদলে যদি নেতারা এইরকম ভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করতে থাকেন, তাহলে যে দলের অস্বস্তি বাড়বে, তা বুঝতে পেরেই এবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করবার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সবংয়ের দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত অমূল্য মাইতি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এখানে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়ার সঙ্গে সেই অমূল্যবাবুর দ্বন্দ্ব রয়েছে। মানসবাবুর স্ত্রী তথা সবংয়ের তৃণমূল বিধায়ক গীতা ভূঁইয়াকে সেই অমূল্য মাইতির সঙ্গে দ্বন্দ্ব কমানোর কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গীতা ভূঁইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “অমূল্যর সঙ্গে ঝগড়া বন্ধ হয়েছে!” আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রশ্নের উত্তরে গীতাদেবী বলেন, “কিচ্ছু হবে না দিদি। সব ঠিক আছে। আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি। সবংয়ের মানুষ আপনার পাশে আছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, “অমূল্য আমার অনেক পুরনো ছেলে। অমূল্য, তুই মাথা ঠান্ডা করে কাজ করিস বাবু।” এদিকে নারায়ণগড়ের তৃণমূল বিধায়ক প্রদ্যুৎ ঘোষকেও কিছুটা সতর্ক করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “তুমি ঝগড়া করছ, না ঠিক আছো? জবাবে প্রদ্যুৎবাবু বলেন, “না দিদি, ঝগড়া করছি না।” স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এসে সেখানকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অনুভব করেই যে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দলের কথা বলা ঠিক নয়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন যে, তার দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সবথেকে বেশি বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে। তাই প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই ব্যাপারে সকল নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। তবে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বলার পর জেলায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমে কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!