এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সৌরভ গাঙ্গুলিকে অপমান? হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের উপর ক্ষোভ উপচে পড়ছে বাংলার যুবসমাজের?

সৌরভ গাঙ্গুলিকে অপমান? হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের উপর ক্ষোভ উপচে পড়ছে বাংলার যুবসমাজের?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –লডসের মাঠ থেকে শুরু করে ইডেন পর্যন্ত বিশ্বের এই প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন বাংলার গৌরব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অনেকের মতে, বর্তমানে টিম ইন্ডিয়া আইসিসিতে যেভাবে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং টিম সাজানোর যে দক্ষতার কারণে হৃদকম্প থেকে ছুটে যায় ক্যাঙ্গারু থেকে পাকিস্তান বাহিনীর, ভারতীয় ক্রিকেট টিমকে দল গঠনের সেই বিদ্যা সৌরভ গাঙ্গুলির প্রদান করা। একাধারে তিনি যেমন নিজের পারফর্মেন্সের দ্বারা প্রতিপ্রক্ষের কালঘাম ছুটিয়েছেন, অপরপক্ষে তেমনই খেলোয়াড়ের থেকেও বড় অধিনায়ক হিসাবে ছিনিয়ে এনেছেন একের পর এক বিজয়মালা।

এহেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শুধুমাত্র বাংলারই নয়, গোটা ভারতবর্ষের কাছেই ছিল আইডিয়াল। দাদা ব্যাটিং করতে নামছে শুনলে এদেশ কিংবা বিদেশ, আট থেকে আশি সকলের আঙ্গুলই দাঁতের তলায় চাপা পড়ে যেত। তবে কিংবদন্তি এই ব্যাক্তিত্ব কখনও নিজের নামে জয়ঢাক পেটাননি। সমাজসেবা করলেও নেপথ্য থেকেই করতে পছন্দ করেছেন। নিজের কর্মের জেরে তাকে “দ্য কিং অফ ক্যালকাটা” বলা হত। কিন্তু ভোট বড় বালাই, আর সিংহাসন তার থেকেও বড় বালাই। মুখে কিং অব ক্যালকাটা বললেও প্রকৃত অর্থে বাংলার মসনদ যে তার হাতে তুলে দিতে রাজি হবে না কোনো রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, তা বলাই বাহুল্য। নিজের দলের মুখ হলে তবুও একটা কথা হয়। কিন্তু বিরোধী শিবিরের হলে তো নৈব নৈব চ। প্রায় 1998 সাল থেকেই তৃনমূলের সঙ্গে যুক্ত দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের কন্ঠেও তাই উঠে এল “বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে” এই তত্ত্বটি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অতি সম্প্রতি দীর্ঘদিন প্রায় দলের দ্বিতীয় সারিতে থাকার পরে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের প্রথম সারিতে আনা হয়েছে সৌগত রায়কে বলে মনে করেন একাংশ। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে একাধিক অস্বস্তিকর বিষয়ে প্রেসের কাছে মুখ খুলছেন সৌগতবাবু। কিন্তু সম্প্রতি ভারতীয় জনতা পার্টির টিকিটে সৌরভ গাঙ্গুলি লড়লে কেমন হবে, এই প্রশ্ন সৌগত রায়কে জিঞ্জেস করতেই কিছুটা রসভঙ্গ হয়ে পড়ে পরিস্থিতি। বস্তুত, শুভেন্দু অধিকারীর তৃনমূল ছাড়ার সম্ভাবনা বাংলার রাজনীতিতে একদিকে যেমন তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিজেদের মুখ বানাতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি বলেও জল্পনা। তাই প্রেসের তরফ থেকে তৃনমূলের এই বর্ষীয়ান নেতাকে প্রশ্নটি করা হয়। যাতে করে সৌগতবাবু কোনোরকম রাখঢাক না রেখেই বলে ফেলেন, “সৌরভ ভালো ক্রিকেট খেলে এবং ও বড় বাড়ির ছেলে। ও রাজনীতিতে এসে কি করবে!”

প্রতিপক্ষ হিসাবেই হোক আর যে কারনেই হোক, সৌগতবাবুর এহেন মন্তব্য কিন্তু ভালো চোখে মেনে নিতে পারেনি বাংলার যুবসমাজ। সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক প্রশ্নবাণ উঠে আসতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন গনমাধ্যমের মধ্য দিয়ে। কেউ বা বলেন, “সৌরভ ক্রিকেট খেলতেন, তাই রাজনীতিতে আসতেন পারবে না। কিন্তু নুসরাত, মিমি, মুনমুনরা অনায়াসেই আসতে পারবেন। সমাজসেবায় যদি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা না থাকে, তাহলে সন্ধ্যা রায় থেকে শুরু করে মিমি চক্রবর্তীদের কি ভূমিকা ছিল! সেই প্রশ্নের জবাব কি সৌগত রায় দেবেন!”

 

এককাঠি উপরে উঠে বিজেপি যুব মোর্চার অন্যতম নেতা তথা একদা তৃনমূলের তরুন তুর্কি শঙ্কুদেব পণ্ডা ট্যুইটারের মাধ্যমে আক্রমন শানান সৌগতবাবুর প্রতি। চাঁচাছোলা ভাষায় একদিকে যেমন তিনি আমপান বিধ্বস্ত এলাকায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদান মনে করিয়ে দেন সৌগতবাবুকে, ঠিক তেমনই বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তত্ত্বে কাঠগড়ায় তোলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। তিনি জিঞ্জেস করেন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মত কিংবদন্তি থাকতে কোন যোগ্যতাবলে শাহরুখ খানকে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হল!” যার কারনেই বর্তমানে দাদাকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে তৃনমূল কংগ্রেস বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। শুধু তাই নয়, যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামেই তৃনমূল এতটা অস্বস্তিতে পড়তে পারে, আগামীদিনে সত্যি সত্যিই সেই সৌরভ গাঙ্গুলী যদি বিরোধী শিবির থেকে নির্বাচনের মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে কি হাল হবে শাসক শিবিরের, তা নিয়েও জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!