এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পুজোর আগে আবারো দরাজহস্ত মমতা! এবার মিলতে চলেছে অতিরিক্ত দেড় কোটি টাকা! জানুন বিস্তারিত

পুজোর আগে আবারো দরাজহস্ত মমতা! এবার মিলতে চলেছে অতিরিক্ত দেড় কোটি টাকা! জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা, প্রতিমা সমস্ত কিছুর নিরিখে রাজ্যখ্যাত ও দেশখ্যাত দূর্গাপুজা হলো কলকাতা ও শহরতলি এলাকার দূর্গাপুজা। তবে জাকজমকের নিরিখে কলকাতার পূজার পরেই উঠে আসে আসানসোল, চিত্তরঞ্জন, রানীগঞ্জ এর দুর্গাপূজা। এই শহর গুলোতে দুর্গাপূজা দেখতে আসেন রাজ্যের বিভিন্ন মানুষ। পুজোর দিনে চলে মিলন মেলা।

কিন্তু করোনা সংক্রমনের কারণে এ বছরে এই জেলার অনেকগুলো পূজা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তবে শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী যখন করোনা সংক্রমণ কালেও পূজা উদ্যোক্তা ক্লাবগুলোকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন, তখন থেকেই আবার শুরু হল পুজোর তোরজোরে। আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেট এলাকায় এবারে পূজা আয়োজক আরও ৩০০ টি কমিটি রাজ্য সরকারের ৫০ হাজার টাকা অনুদান পেতে চলেছে।

প্রসঙ্গত গতবছর পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মোট ১৪০০ টি দূর্গাপূজা হয়েছিল। কিন্তু এবছর করোনা সংক্রমনের কারণে মানুষের হাতে অর্থের অভাব, চাঁদার ঘাটতি, বাণিজ্যের ঘাটতির কারণে বিজ্ঞাপনের ঘাটতি, সমস্ত কিছু নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ক্লাবের উদ্যোক্তারা। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেবার কথা ঘোষণা করতেই প্রাণ ফিরে পেল ক্লাব গুলি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত ১০ বছরের পুরোনো ক্লাবগুলিও রাজ্য সরকারের এই সাহায্য পাবে। আরও বেশি ক্লাবগুলিকে সহায়তা দেবার কথাও মুখ্যমত্রী জানিয়েছেন।

আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেট এলাকাতে এবার মোট ৯৮৩ পুজো কমিটি অনুদান পেতে চলেছে। যা গত বছর ছিল ৬৯০ টি। গত বছর নামের ভুল, অ্যাকাউন্ট নাম্বার ভুলের কারণে কিছু কমিটি সরকারি অনুদান পায় নি। এবার এই বিষয়ে পুলিশের অধিক সতর্কতা ছিল। সেজন্য এ বছর কোন ক্লাবকে সমস্যায় পড়তে হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মোট পূজার সংখ্যা ১৫০০ হতে চলেছে। পূজার সময় সাধারণ মানুষ যাতে মাস্ক ব্যবহার করে, তার জন্য প্রচার চালানো হবে। বিভিন্ন স্থানে কিয়স্ক গঠন করেছে পুলিশ। সেখান থেকে ২ লক্ষেরও বেশি মাস্ক বিলি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মাস্ক ব্যবহার না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্যান্ডেলগুলিতে অতিরিক্ত ভিড় জমতে না দিতে নজরদারি করবে ড্রোন। পুলিশের পক্ষ থেকে কিছুদিনের মধ্যেই পুজোর গাইডম্যাপ প্রকাশ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে ডিসি(হেড কোয়ার্টার) অংশুমান সাহার বক্তব্য, ” প্রায় এক হাজার পুজো কমিটি এবার ৫০ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। যাতে টাকা পেতে সমস্যা না হয়, তার উপর বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। আমরা মাস্ক বিতরণ করব। পুজোর সময় ড্রোনও ব্যবহার করা হবে।”

আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেট এলাকার পুজো উদ্যোক্তা ক্লাবগুলি জানিয়েছে যে, সরকারের কাছ থেকে পাওয়া অনুদানের অর্থ দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বার্তাদানের সঙ্গে সঙ্গে দুঃস্থ মানুষদেরও সাহায্য করবেন তারা। বেশিরভাগ পূজা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দর্শনার্থীদের মাস্ক বিলি করা হবে। এ প্রসঙ্গে বার্নপুরের নববিকাশ ক্লাবের কর্তা রূপক সরকার জানালেন, ” আমরা এই টাকা দরিদ্র মানুষের সাহায্যে ব্যবহার করব। কিছু টাকা স্বাস্থ্য বিধি মানতে ব্যয় করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই টাকার ব্যবস্থা করায় খুবই সুবিধা হয়েছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!