এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > গেরুয়া শিবিরের ‘অভিনব প্রচার’ আটকাতে বড় পদক্ষেপ কমিশনের, তৃতীয় দফার আগে ব্যাকফুটে বিজেপি?

গেরুয়া শিবিরের ‘অভিনব প্রচার’ আটকাতে বড় পদক্ষেপ কমিশনের, তৃতীয় দফার আগে ব্যাকফুটে বিজেপি?

ক্রমশ জমে উঠছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের লড়াই – একদিকে যখন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন এনডিএ পুনরায় দিল্লি দখলের জন্য নিজেদের ‘কনফিডেন্স’ দেখাচ্ছে – অন্যদিকে তখন দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলি হাতে হাত মিলিয়ে নিজেদের ‘ওয়ান পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা’ ঘোষণা করে দিয়েছে – মোদী হঠাও, দেশ বাঁচাও! ফলে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই প্রত্যেকদিন নিজেদের মত করে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে।

কিন্তু ২০১৯ এ দাঁড়িয়ে – আর শুধুমাত্র জনসভা বা প্রচার মিছিল করেই খাঁটি হচ্ছে না রাজনৈতিক দলগুলি। নিজেদের মত করে নতুন নতুন পদ্ধতি বের করছে প্রচারের। ২০১৪-এর নির্বাচন থেকেই ভারতীয় নির্বাচন পদ্ধতির সঙ্গে প্রবলভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার। আর ২০১৯-এ দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি প্রচারের অঙ্গ হিসাবে উঠে এসেছে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের বায়োপিক, ইউটিউব ভিডিও ও ‘ফেক নিউজ’ – আর তাই নির্বাচনী প্রচারের বিভিন্ন আঙ্গিক নিয়ে অসম্ভব কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দল যাতে নিয়মের ফাঁক গলে কোনো বাড়তি সুবিধা না পায়, তাই প্রতি মুহূর্তেই সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন নির্বাচনী আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই, নির্বাচনকে ‘প্রভাবিত’ করতে পারে – বিরোধীদের এই অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তৈরী বায়োপিকের রিলিজ আটকে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে গেরুয়া শিবির বিকল্প পথে – নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি ওয়েব সিরিজ আনার পরিকল্পনায় ছিল। কিন্তু, ‘মোদী: জার্নি অফ এ কমন ম্যান’ – নামের সেই ওয়েব সিরিজেও এবার স্থগিতাদেশ জারি করল নির্বাচন কমিশন।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওয়েব সিরিজের প্রযোজকদের কাছে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা পৌঁছেছে এবং আগামী নির্দেশিকা না পাঠানো পর্যন্ত এই ওয়েব সিরিজ তো প্রকাশ্যে আনা যাবেই না, উল্টে এই সংক্রান্ত যা কিছু কনটেন্ট ইন্টারনেটে সাধারণ মানুষের দেখার জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল, তাও সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বায়োপিক আটকে যাওয়ার পর, ওয়েব সিরিজের হাত ধরে নিজের তথা দলের ‘টিআরপি’ বাড়ানোর যে পরিকল্পনা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির – কমিশনের নির্দেশিকার পর তা কার্যত বিশ বাঁও জলে। ফলে, আপাতত বিজেপি কি ব্যাকফুটে? জবাবটা মিলবে কিন্তু ২৩ শে মে – সারা দেশের ইভিএম বাক্স খুললে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!