এখন পড়ছেন
হোম > Uncategorized > ইডির তলব নিয়ে অভিষেকের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা, জেনে নিন!

ইডির তলব নিয়ে অভিষেকের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা, জেনে নিন!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সহধর্মিণী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্বভাবতই এই ঘটনার পর থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বলে আক্রমণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে এই গোটা ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে যখন গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বরূপ বলে দাবি করা হচ্ছে, ঠিক তখনই এই ব্যাপারে পাল্টা যুক্তি দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে আইনের উর্ধ্বে কেউ নয় বলে গোটা ঘটনায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা অমিত মালব্য। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। যেখানে সকলকেই আইনের স্বার্থে সহযোগিতা করা উচিত বলে জানিয়ে দেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে একটি সংবাদ মাধ্যম সংস্থাকে বিবৃতি দিতে গিয়ে অমিত মালব্য বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো এবং তার স্ত্রী কয়লা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত এবং ইডি তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ এনেছে। তাদের তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, ইডির পক্ষ থেকে তলব করার পরেই গোটা ঘটনায় তৃনমূল আরও বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনে বাংলায় ভরাডুবি হওয়ার পর থেকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের। সেদিক থেকে এই গোটা ঘটনা প্রতিহিংসার রাজনীতির নামান্তর বলেই দাবি করতে শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তবে তাদের সেই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিতেই বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধানের পক্ষ থেকে এই ধরনের যুক্তি দেওয়া হল বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এর আগেও একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলের একাধিক নেতা, নেত্রীদের কাছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নোটিশ এসেছে। এমনকি তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পরেই নারদ কান্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পদক্ষেপে গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা এবং মন্ত্রীদের। আর এবার তৃণমূলের একদম শীর্ষস্তরে থাবা বসাতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। দলের কার্যত সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে পরিচিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সহধর্মিনীকে ইডির পক্ষ থেকে পাঠানো নোটিশকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর এবার গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়ে গেল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!