এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শিক্ষামন্ত্রীর সাবধানবাণীকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কলেজে বহিরাগত থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব – পথ দেখাচ্ছে টিএমসিপি!

শিক্ষামন্ত্রীর সাবধানবাণীকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কলেজে বহিরাগত থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব – পথ দেখাচ্ছে টিএমসিপি!


গত বছর শাসকদলের ছাত্র সংগঠন তৃনমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে কলেজে কলেজে ছাত্র ভর্তিতে তোলাবাজি এবং বহিরাগতরা কলেজে ঢুকে অশান্তি পাকাচ্ছে – এই অভিযোগেই বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের ছাত্রসংগঠনের কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়ে ছাত্ররাই ছাত্র রাজনীতি করবে বলে রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী পদ থেকে জয়া দত্তকে সরিয়ে সেইখানে আনা হয় তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে।

এমনকি কলেজে কলেজে অশান্তি রুখতে বহিরাগতরা যাতে সেই কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না ঢোকে সেইজন্য হুঁশিয়ারিও দেন তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু হুঁশিয়ারিই সার, বাস্তবে যে দল এবং দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ বিন্দুমাত্রও মানছে না শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্রসংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ তা ফের আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ক্যাম্পাস। জানা যায়, এদিন কলেজ ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন তৃনমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অনুষ্ঠান শেষে তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই শাসক দলের ছাত্রসংগঠনের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রবল বচসা ও মারামারি বাঁধে। কিন্তু কি নিয়ে এই গন্ডগোল?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এই কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই একটি চাপা উত্তেজনা ছিল। কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বর্তমান সংগঠনের দায়িত্বে থাকা ছাত্রদের অভিযোগ যে, ইতিমধ্যেই যারা পাস করে দিয়েছে এদিন তারা ফের কলেজ ক্যাম্পাসে ঢোকাতেই এই গোলমাল হয়। তবে একাংশের মতে, আগামী 23 শে মার্চ মৌলানা আজাদ কলেজে ফেস্ট রয়েছে। আর সেই ফেস্টে বিপুল অঙ্কের টাকা ইতিমধ্যেই বরাদ্দও করা হয়েছে। আর সেই অনুষ্ঠানের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়েই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এদিনের গন্ডগোল বলে মনে করছেন অনেকে।

এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে কলেজের সিসিটিভি খতিয়ে দেখে মূল অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। তবে কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এহেন গন্ডগোল হলেও কলেজ স্বাভাবিক ছন্দেই রয়েছে বলে জানান মৌলানা আজাদ কলেজের অধ্যক্ষ শুভাশিস দত্ত।

অন্যদিকে এই ঘটনায় কলেজের সংগঠনের কেউ জড়িত নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে যে যাই বলুন না কেন, শিক্ষামন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরেও কেন শাসক দলের ছাত্রসংগঠনের দাপাদাপিতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলেজ ক্যাম্পাস তা নিয়ে একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!