এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভোট বড় বালাই- চাকরিপ্রাথীদের ক্ষোভ মিটিয়ে এসএসসি নিয়ে বড়সড় ঘোষণা শিক্ষমন্ত্রীর

ভোট বড় বালাই- চাকরিপ্রাথীদের ক্ষোভ মিটিয়ে এসএসসি নিয়ে বড়সড় ঘোষণা শিক্ষমন্ত্রীর


রাজ্যে ভোট মেটার আগে থেকে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে তারা ৪২ সে ৪২ টি আসন পাবে আর তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ফলাফল ঘোষণা হবার পর দেখা গেছে যে রাজ্যে ৪২ টি আসন তো দূর মোটে ২২ টি আসন পেয়েছে রাজ্যের শাসকদল। উত্থান হয়েছে বিজেপির।

যদিও অনেকের দাবি যে বিজেপির উত্থান হয়েছে বলেই তৃণমূল ভোট কম পেয়েছে। কিন্তু এই দাবিকে মানতে নারাজ অনেকে। তাদের মতে এবারে তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে চাকুরিপ্রার্থী, সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক মহল যার ফলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁরা তাদের ভোটটা দিয়েছেন বিজেপিকে। কেননা রাজ্যের এই বড় অংশ নিজেদের বঞ্চনা নিয়ে বার বার সরব হয়েছেন। কিন্তু সারা পাননি। যার প্রতিফল দেখা গেছে ভোটের বাক্সে। আর এই দাবি যে সত্যি তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরেও চর্চা শুরু হয়েছে। রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য তাই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এমনটাই মত রাজনৈতিকমহলের।

আর এর পরেই এদিন রাজ্যে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়। এদিনে তিনি জানান যে, শীঘ্রই শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এই নিয়ে তিনি ২০ জুনের মধ্যে বাকি থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। সাথেই যে নিয়োগ প্রক্রিয়াগুলি মামলার কারণে স্থগিত রয়েছে কোর্ট খুললেই যেন সেগুলো চালু করা হয় তার জন্য আবেদন জানান বলেও জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন শিক্ষমন্ত্রী জানান যে, “আপনাদের মনে আছে যে, আমরা নির্বাচনের আগে বলেছিলাম SSC-র যে সব বকেয়া পরীক্ষা নেওয়ার পর ইন্টারভিউ বাকি আছে তা যত দ্রুত সম্পন্ন করা যায় তা দেরব। আমরা সবাই মিলে দু’দিন ধরে বৈঠক করেছি। যা বাকি আছে তার অনেকগুলোই কোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে। আমরা কোর্ট খুললেই আবেদন করব । যাতে নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে নিয়োগপত্র যোগ্য প্রার্থীদের হাতে দিয়ে দেওয়া যায়।”

এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরো বলেন যে, “আমি যতদূর আলোচনা করে দেখলাম এখানে ক্লাস ফাইভ টু এইট যেটা, মানে আপার প্রাইমারিটা বাকি আছে। যার ইন্টারভিউ বোধহয় একটা হয়েছে। চারটে প্রসেসে ইন্টারভিউ হয়। তার মানে আরও তিনটে প্রসেস বাকি আছে। হেডমাস্টার নিয়োগে আমাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেওয়া শুরু হয়ে গেছিল। কিন্তু, তারপর আবার কোর্টের নির্দেশে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা বলেছি যদি ১০ তারিখেই কোর্ট খোলে তাহলে সেদিনই গিয়ে আবেদন করব।”

এটাই নয় এর সাথে তিনি জানান যে, “ইলেভেন-টুয়েলভের হয়ে গেছে। ওয়ার্ক এডুকেশন, ফিজ়িকাল এডুকেশন নিয়েও আমরা বলেছি লিস্ট বের করে দিতে। নির্দিষ্টভাবে তাঁদের বলা আছে যে, যত দ্রুততার সঙ্গে এটা করা সম্ভব, ওই মে চলে গেল, জুন চলে যাবে, জুলাই চলে যাবে। এরপর আর যাবে না। কারণ, এর পরই আমরা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব। এ বছরের আবেদন গ্রহণ করব।”

সাথেই স্কুল সার্ভিসে কমিশনকে নির্দেশ দেন যে, ” অন্তত ২০ জুনের মধ্যে আপনারা সমস্ত প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে শেষ করুন। অর্থাৎ, ২০ জুনে গিয়ে করতে হবে তা নয়। হেডমাস্টারের নিয়োগ প্রক্রিয়া যদি ১০ জুনের মধ্যে সম্ভব তাহলে তাই করুন, অন্য ইন্টারভিউগুলো যদি দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব হয় তাহলে তাই করুন। আরও বেশি বেঞ্চ নিয়ে অন্য জায়গায় ইন্টারভিউগুলো নিন, যাতে দ্রুততার সঙ্গে যে SSC-র রেজ়াল্টগুলো বেরিয়ে গেছিল সেগুলোর নিয়োগ করা যায়।”

তবে এতে কতটা ক্ষোভ কমবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কেননা চাকরিপ্রার্থীদের মতে এর কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়েই প্রশ্ন আছে। আর যদি বাস্তবে এগুলো কার্যকর না হয় তবে ভবিষ্যতে আরো বড় অঘটন ঘরটা পারে তৃণমূল সরকারের জন্য। এখন দেখার কোন পথে এগোয় চাকরিপ্রার্থীদের ভাগ্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!