এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এই বিরোধী আসনেও উন্নয়নের বন্যা শাসকদলের, বিধানসভার আগে জনতার রিপোর্টকার্ড কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে?

এই বিরোধী আসনেও উন্নয়নের বন্যা শাসকদলের, বিধানসভার আগে জনতার রিপোর্টকার্ড কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উন্নয়নকে পাথেয় করে এরাজ্যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য শাসনের সূচনা করেছিলেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে উন্নয়ন চলে গিয়েছে পেছনের সারিতে,সামনে এসেছে দলীয় কোন্দল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কিন্তু সামনেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন। আর তাই আবারও উন্নয়নের হাত ধরে ভোটযুদ্ধ জিততে ময়দানে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। মালদা বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস জোটের বিধায়ক বর্তমান। কিন্তু বিরোধীদের বিরোধী বিধায়ক থাকা সত্বেও রাজ্য সরকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো রকম কার্পণ্য করেনি বলে জানা যাচ্ছে। আর এ কথা শোনা যাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের মুখেই।

তাঁরাই বলছেন, গত পাঁচ বছরে মালদা গ্রামীণ এলাকার সাথে সাথে পুরাতন মালদা শহরের খোলনলচে বদলে গিয়েছে। বলা হচ্ছে, মালদা শহর থেকে গ্রামীণ এলাকা- সর্বত্র রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছেছে, পাশাপাশি বিদ্যুৎ এসেছে প্রতিটি ঘরে। সব মিলিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা যে রিপোর্ট কার্ড দিয়েছে উন্নয়নের ক্ষেত্রে, তা তৃণমূলকে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের নিজস্ব কর্মসূচি ‘দুয়ারে সরকার’ এবং ‘স্বাস্থ্যসাথী’ সহ একাধিক কর্মসূচী শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক জনমুখী প্রকল্পে মালদার বাসিন্দারা যে যথেষ্ট খুশি সে কথা স্পষ্ট করেছেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার জানিয়েছেন, মালদা বিধানসভা কেন্দ্রে যাবতীয় উন্নয়ন পুরসভা, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েতের হাত ধরেই হয়েছে এবং সেগুলি প্রত্যেকটি তৃণমূল পরিচালিত। তবে মালদা জেলার বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা ভূপেন্দ্রনাথ হালদার এই দাবি সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, জনগণের টাকাতেই উন্নয়ন হয়েছে। কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের টাকায় হয়নি। পাশাপাশি উন্নয়ন জনপ্রতিনিধিদের হাত ধরেই হবে, সে কথা স্পষ্ট করেছেন তিনি। তবে পুরাতন মালদা জেলার বিজেপির মন্ডল সভাপতি নিতাই মন্ডল অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা কখনোই উন্নয়নের বিরোধিতা করবেন না।

তবে উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের ভোট জেতার আশা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হবে বলে তিনি দাবী করেছেন। অন্যদিকে মালদা জেলার আরএসপি দলের নেতা সর্বানন্দ পান্ডে তৃণমূল এবং বিজেপিকে একই সারিতে রেখে জানিয়ে দিয়েছেন, এরা কোনো কাজ করেনি। তবে মালদার বাসিন্দারাই কিন্তু দেখা যাচ্ছে তৃণমূলকে উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্ট কার্ডে এ প্লাস নাম্বার দিচ্ছেন। আর এই রিপোর্টকার্ড আক্ষরিক অর্থেই তৃণমূলের ভোটযুদ্ধ জেতার অন্যতম চাবিকাঠি হয়ে উঠতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে সবক্ষেত্রেই যে উন্নয়ন দিয়ে রাজ্য নির্বাচনের হিসাব নিকাশ হবে না, সে ব্যাপারে বারংবার দাবি করে চলেছে রাজ্যের বিরোধী শিবিরগুলি।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!