প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতির জগতে কটাক্ষ প্রতি কটাক্ষের লড়াই লেগেই থাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে। কিন্তু কোন কোন সময় কটাক্ষ শালীনতার সীমা লংঘন করে আর তাই নিয়েই শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক। ঠিক যেভাবে এবার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে যেভাবে তিনি শালীনতার সীমা লংঘন করেছেন তা নিয়ে মুখর সব মহল। বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতির দায়িত্বে আছেন অনুব্রত মণ্ডল।

মাঝেমাঝেই অনুব্রত মণ্ডল বিতর্কিত কথা বলে থাকেন। কখনো গুড় বাতাসা, কখনো চরাম চরাম। আর এবার সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরাসরি অনুব্রত মণ্ডল আক্রমণ করে বসলেন এবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁর বাবাকে পর্যন্ত তুলে আনেন অনুব্রত। এবং তার পরেই অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জলঘোলা। অনুব্রত মণ্ডল এদিন দাবি করেন, ভারতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পেছনে মূল কারিগর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

নুব্রত নিজের কথার দাবি করতে গিয়ে বলেন, আমেদাবাদে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ নামের একটি অনুষ্ঠান করেছিলেন মোদী এবং সেসময় আমেরিকা থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোক আসে এবং তাঁদের থেকেই করোনা ছড়িয়ে পড়ে ভারতে। সম্প্রতি মোদি সরকারের সাফল্য মন্ডিত একটি বই বার করেছে গেরুয়া শিবির। সেই বই প্রসঙ্গে এদিন অনুব্রত মণ্ডল বেশ কয়েকটি কড়া মন্তব্য করেন। মোদি সরকারের সাফল্য নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি বলে জানা গেছে।

এদিন পাল্টা অনুব্রত মণ্ডল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন, 8 হাজার কোটি টাকা দিয়ে প্লেন না কিনে হাসপাতাল তৈরি করা যেত। ওর বাবার মাথা করেছে। তার বেশি কিছু করেনি। মোদী মানুষের কোনও উপকার করেননি বলেও মন্তব্য করেন অনুব্রত। চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, একটা উপকার তিনি দেখিয়ে দিন। অন্যদিকে বীরভূম অঞ্চলে আগামী দিনের ভোট নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত তৃণমূল শিবির বলে মনে করা হচ্ছে। সেই উদ্দেশ্যে এবার বিকাশ রায়চৌধুরীর হাতে সিউড়ি বিধানসভার সম্পূর্ণ দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি বলে জানা গেছে।

তবে অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, রাজনৈতিক কটাক্ষের আড়ালে কোন ব্যক্তি বিশেষকে আক্রমণ করা কখনই উচিত নয়। কারণ সাধারণ মানুষই তা ভালো চোখে দেখে না। অন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে অগ্রসর হচ্ছে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল। আপাতত দেখার, অনুব্রত মন্ডলের মন্তব্য ঘিরে এবার গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়!