এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এই প্রথম ‘ব্যাকফুটে’ থেকে উপনির্বাচনে নামতে হচ্ছে! ঘুম উড়েছে তৃণমূল নেতাদের?জোর জল্পনা

এই প্রথম ‘ব্যাকফুটে’ থেকে উপনির্বাচনে নামতে হচ্ছে! ঘুম উড়েছে তৃণমূল নেতাদের?জোর জল্পনা

রাজ্যে ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়েছে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন। আর তার পরেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি। আর একমাসও বাকি নেই উপনির্বাচন কেন্দ্রের নির্বাচনী যুদ্ধে। তবে লোকসভা নির্বাচনের বিজেপির ভালো ফলাফলের দরুন এই প্রথম উপনির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূল নেতাদের চিন্তা দ্বিগুণ। আপাতত প্রত্যেকটি দলই নির্বাচনে প্রচারে মনোযোগ দিয়েছে।

সামনের ভোটে ম্যাজিক দেখাতে গেলে নির্বাচনী প্রচারে জোর দিতে হবে সে কথা সমস্ত রাজনৈতিক দলই জানে। আর তাই এবারের নির্বাচনী প্রচারে কে কতটা চমক আনতে পারে সেদিকেই লক্ষ্য সবার। তবে রাজনোইতিক মহলের একাংশের দাবি গত লোকসভার ভোটের রেখাচিত্র লক্ষ্য করলে দেখা যাবে রাজ্যের শাসকদল বেশ কিছুটা পিছিয়ে এই নির্বাচনী লড়াই শুরু করতে চলেছে।

এবারের বিধানসভা উপনির্বাচন গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় বেশ কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলের তরফ থেকে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি কেউই কাউকে এক ফোঁটা জমি সহজে ছেড়ে দেবে না। লোকসভা নির্বাচনের পর এ রাজ্যে বিজেপি পায়ের তলার মাটি শক্ত করে নিয়েছে। আর তার ফলে যে প্রশ্নটা উঠছে তা হল, রাজ্যে কি তৃণমূলের জয় আবার ফিরে আসবে? নাকি তৃণমূলের রাজ্যে এবার থাবা বসাতে চলেছে বিজেপি? আপাতত এই নিয়েই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে।

তবে এই উপনির্বাচনের আসরে বিজেপির সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ গত লোকসভা ভোটে বিজেপি আশানুরূপ ফল করেছে এ রাজ্যে। এবং তিনটি উপনির্বাচনী কেন্দ্রের মধ্যে দুটিতে বিজেপি লোকসভা ভোটের নিরিখে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে আছে। যে একটিতে বিজেপি তৃণমূলের থেকে পিছিয়ে আছে, সেই ব্যবধান খুবই অল্প। এই পরিস্থিতিতে দেখার রাজ্যের উপনির্বাচনে কোন দল এগিয়ে যাবে।

তিনটি উপনির্বাচনী কেন্দ্রের মধ্যে করিমপুর কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে ছিল। এই কেন্দ্রে লোকসভা ভোটে তৃণমূল 14 হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল। খড়্গপুরে এবং কালিয়াগঞ্জে যথাক্রমে বিজেপি এগিয়ে ছিল বিপুল ভোটের ব্যবধানে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

2016 সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে পরিচয় লাভ করে। 293 টি আসনের মধ্যে 211 টি আসন জেতে তৃণমূল। তারপর থেকে পশ্চিমবঙ্গের যতগুলো উপনির্বাচন হয়েছে প্রত্যেকটিতে তৃণমূলের জয়জয়কার দেখা গেছে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচন থেকেই হাওয়া ঘুরতে শুরু হয়েছে। এই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরোধী পক্ষ হিসেবে বিজেপি প্রবল দাবিদার হিসেবে রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষাপটে উঠে এসেছে।

গত লোকসভা ভোটে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের 42 টি আসনের মধ্যে 18 টি আসনে জয়লাভ করে। শুধু তাই নয় বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা মদন মিত্র কে হারিয়ে দেয় বিজেপি। সেদিকে লক্ষ্য রেখে এবার তিনটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে নির্বাচনী লড়াই যে বেশ জমে উঠবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি তাঁর সর্বশক্তি নিয়ে জিততে মরিয়া। অন্যদিকে তৃণমূলও নিজেদের আসন দখল রাখার সাথে সাথে বাকি দুটি আসনে জেতার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই অবস্থায় বাম ও কংগ্রেস উপনির্বাচনে জোট গড়ে কতটা লড়াই দেবে তৃণমূল ও বিজেপিকে, সেটাই দেখার।

অন্যদিকে তৃণমূল দাবি জানিয়েছে, লোকসভা ভোট নয় এটা। এটা বিধানসভা উপনির্বাচন। এখানে ভোট হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। তাই এই নির্বাচনে অনায়াসেই তৃণমূল জিতবে। সুতরাং রাজ্যের শাসকদল তথা তৃণমূল কংগ্রেস বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তাঁরা কোনো অংশেই পিছিয়ে থাকতে রাজী নয় অন্য রাজনৈতিক দলের থেকে।

তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই তিনটি উপনির্বাচনকে ঘিরে এবার প্রেস্টিজ ফাইট হতে চলেছে রাজ্যের প্রধান চারটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে। কারণ, এই উপনির্বাচনগুলি জিতলে পরবর্তী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে দল জিতবে, তাঁর আত্মবিশ্বাস যে তুঙ্গে থাকবে সে বিষয়ে চোখ বন্ধ করে বলা যায়।

তাই রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল সামনের উপনির্বাচনগুলি জিততে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। আপাতত সামনের উপনির্বাচনকে পাখির চোখের লক্ষ্য করেছে রাজ্যের প্রধান চারটি রাজনৈতিক দল। সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!