এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ঈদের কারণে শিথিল হচ্ছে লকডাউন! সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি, ব্যাপক চাপে রাজ্য!

ঈদের কারণে শিথিল হচ্ছে লকডাউন! সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি, ব্যাপক চাপে রাজ্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা ভাইরাসের কারণে সমস্ত রকম মিটিং-মিছিল, ধর্মীয় সমাবেশ, জমায়েত বন্ধ করার কথা জানানো হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ থেকে শুরু করে লকডাউনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যেনতেন প্রকারেন ভয়াবহ ভাইরাস আটকাতে হবে বলে জানাচ্ছে প্রতিটি রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার এবং চিকিৎসকরা। তবে দ্বিতীয় ঢেউ যখন কিছুটা হলেও নিম্নমুখী, তখন বেশ কিছু ক্ষেত্রে খামতির ছবি চোখে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজ্যে। প্রশাসন যদি এখন থেকেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে চিকিৎসকমন্ডলীর পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে আশঙ্কার বার্তা শোনানো হলেও, তাতে কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই।

এবার করোনা ভাইরাসের এই সংকটজনক মুহূর্তে ঈদের কারণে কেরল সরকারের পক্ষ থেকে তিন দিনের জন্য লকডাউনের বিধি নিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আর সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সাথে সাথেই তার বিরোধিতা করে সরব হয়েছে চিকিৎসক সংগঠন। যেখানে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে কেরল সরকার যদি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ধর্মীয় সমাবেশে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি আগে, নাকি সাধারণ মানুষের জীবন আগে, এই প্রশ্ন তুলে চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে রীতিমতো চাপে ফেলে দেওয়া হয়েছে কেরলের বাম সরকারকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি করোনা ভাইরাস যখন ঊর্ধ্বমুখী, ঠিক তখনই কেরলের বাম সরকারের পক্ষ থেকে বকরি ঈদের কারণে তিন দিন বিধি-নিষেধ শিথিল করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তারপরেই তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। সরকার কি তাহলে তোষনের রাজনীতি করতে ব্যস্ত? সাধারণ মানুষের জীবন তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়? তা নিয়ে খোঁচা দিতে শুরু করেছে একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের উদ্দেশ্যে দেওয়া হল কড়া বার্তা। যেখানে চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবিলম্বে সরকারি নির্দেশ প্রত্যাহার করে করোনা আচরণবিধি পালনের প্রশ্ন জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করতে হবে।

উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মত উত্তরভারতের ঐতিহ্য মন্ডিত রাজ্যগুলো তীর্থযাত্রা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, কেরল বিধি-নিষেধ শিথিল করতে রাজি হয়েছে। যার ফলে প্রচুর লোকের জমায়েত হবে। এক্ষেত্রে সরকার যদি এই ব্যাপারে তাদের কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে এই সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন। স্বাভাবিকভাবেই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে চিকিৎসক সংগঠনের এই কড়া বার্তা সরকারের মেনে চলা উচিত বলেই মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা জানানোর পর যেভাবে চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের উদ্দেশ্যে করা বার্তা দেওয়া হয়েছে, তাতে সরকার আদৌ নমনীয় মনোভাব পোষণ করবে কিনা, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে সংশয়। কেননা সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক সংগঠনের কড়া বার্তা পাওয়ার পরেও যদি নমনীয় মনোভাব পোষণ করা না হয়, তাহলে আইএমএ শীর্ষ আদালতে গেলে আরও চাপের মুখে পড়তে হতে পারে পিনারাই বিজয়নের সরকারকে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, ভারতে যখন প্রথম করোনা ভাইরাস প্রবেশ করেছিল, তখন অন্যান্য রাজ্যের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে ছিল এই কেরল। যেখানে কেরলে অত্যন্ত কঠোর হাতে সরকারের পক্ষ থেকে এই করোনা ভাইরাসকে দমন করা হয়েছিল। যা ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের কাছে মডেল হয়ে দাঁড়ায়। আর এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় যখন করোনা ভাইরাসের গ্রাফ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এবং সরকার তাকে দমন করার চেষ্টা করছে, তখন কেরল সরকারের পক্ষ থেকে সেই বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়ার পদক্ষেপ নানা মহলে প্রশ্ন তুলে দেয়। এক্ষেত্রে প্রথম ঢেউয়ের মত দ্বিতীয় ঢেউকে সামাল দিতে কেরল সরকার অনেকটাই ব্যর্থ বলেও দাবি করতে শুরু করেন একাংশ।

তাই এই পরিস্থিতিতে ছাড় দেওয়া হলে যে গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করবে এবং তৃতীয় ঢেউ হাতছানি দেবে, তা বুঝতে পেরেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণেই কেরল সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিতেই তার বিরোধিতা করে সরব হতে দেখা গেল সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনকে। তবে সরকারের বিরোধিতা করে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর এবার কেরল সরকারের পক্ষ থেকে নিজেদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!