এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ঈদের আগে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে কুরবানীর ছবি প্রকাশ্যে না আনতে তৎপর রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন

ঈদের আগে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে কুরবানীর ছবি প্রকাশ্যে না আনতে তৎপর রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন


বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর যে কোনও উৎসবের আগেই বাংলায় যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে, তার জন্য বার্তা দিতে দেখা যায় রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দুর্গাপূজো থেকে ক্রিসমাস, ঈদ থেকে মহাবীর জয়ন্তী – বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন উৎসবে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। আর এবার উৎসবের মরসুমের আগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই হাঁটল কোচবিহার জেলা প্রশাসন।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি কোচবিহার জেলা পুলিশের তরফে একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, “ঈদ-উল-আজহায় কুরবানি দেওয়ার উদ্দেশ্য আল্লাকে রাজি করানো, কারও মনে দুঃখ না দেওয়া। কুরবানী দেওয়া গোস্ত প্রকাশ্যে আনবেন না, বা পশুকে কুরবানী দেওয়ার কোনোপ্রকার ছবি সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করবেন না। ইসলাম শান্তি ও ভালোবাসার আরেক নাম।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী সোমবার দেশজুড়ে মহাসমারোহে ঈদ পালিত হবে। আর তার আগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে বজায় রাখা যায়, তার জন্যই কোচবিহার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সোশ্যাল সাইটে এই পোস্ট করা হয়েছে। আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে কোচবিহার জেলা পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য মৌলানা কেয়ার ফিরাঙ্গি মাহালি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি তাঁর এক বার্তায় জানান, আমি জানি প্রতিবছরের মতো এবারও মহাধুমধামে এদেশের মুসলিমরা ঈদ পালন করবেন। কিন্তু তাদের কাছে আমি আবেদন করব, সরকার নিষিদ্ধ করেছে এরকম কোনো পশু বলি দেবেন না। একমাত্র সেই পশুই বলি দিন, যাদের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আপনার ধর্মাচরণের পদ্ধতিতে যেন অন্য ধর্মের কেউ আঘাত না পান, সেদিকেও লক্ষ্য রাখবেন।

পশু বলিদানের ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করবেন না। তবে কোচবিহার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ঈদের আগে সোশ্যাল সাইটে এই ধরনের পোস্ট সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকেই আরও একবার স্পষ্ট করল বলে মনে করছে একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহারের পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকার বলেন, “শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখেই যাতে ঈদ পালন করা হয়, তাই আমাদের এই উদ্যোগ। আমাদের আশা এবার শান্তিতেই উৎসব পালিত হবে।” সব মিলিয়ে ঈদের আগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে কোচবিহার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এহেন ফেসবুক পোস্ট এবং সচেতনতা মূলক উদ্যোগ যাতে অন্যান্য জেলাও নেয়, সেই ব্যাপারে আশাবাদী সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!