এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এই বিজেপি বিধায়ককে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছে পুলিশ? বিস্ফোরক অভিযোগে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি

এই বিজেপি বিধায়ককে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছে পুলিশ? বিস্ফোরক অভিযোগে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই শাসক বিরোধী দলের অভিযোগ প্রতিঅভিযোগের পরিমাণ বাড়ছে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে শাসক শিবির প্রায় পুরোপুরি কর্তৃত্ব হারায়। সে জায়গায় ক্ষমতাসীন দল রূপে সামনে আসে গেরুয়া শিবির। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারিয়ে যাওয়া সেই ক্ষমতা আবার ফিরে পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূল শিবিরের সাথে সাথে পুলিশের বিরুদ্ধেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে আসলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা।

সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু দাবি করেছেন, উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি বিধায়ককে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ আসছে পুলিশের ওপর মহল থেকে। এব্যাপারে উত্তরবঙ্গের এক পুলিশ সুপারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গোচরে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে জলপাইগুড়ি অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে গেরুয়া শিবির।

আর এই কর্মসূচিতে গিয়েই এবার উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে সায়ন্তন বসু জানান, উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেবার জন্য চাপ দিচ্ছেন উত্তরবঙ্গেরই এক পুলিশ সুপার। এ বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, এটি প্রায় মাস খানেক আগের ঘটনা। এলাকার বিজেপি বিধায়ককে পুলিশ সুপার ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতার সামনে বসিয়ে তাঁকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। ঘটনার কথা উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতাদের কানে আসার পরেই কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে ওই বিধায়কের যোগাযোগ করানো হয়েছে বলেও দাবি করেন সায়ন্তন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গের ওই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে আবেদন করা হয়েছে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেও তিনি জানান। তবে এদিন সায়ন্তন বসু উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দেন,  কাটমানি অভিযোগে অভিযুক্তদের নাম লিখে রাখতে। একুশের নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে সবার বিচার হবে। অন্যদিকে সায়ন্তন বসুর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাসকদল বা পুলিশের পক্ষ থেকে কেউই কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

তবে সায়ন্তন বসু ইঙ্গিত দিয়েছেন পুলিশি চাপের কাছে ওই বিধায়ক নতি স্বীকার করেননি। এই অভিযোগ সামনে আসায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেন, একুশের নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় চলছে দলবদলের হাওয়া। সে জায়গায় বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর অভিযোগ পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলা যাচ্ছেনা। তবে ঘটনার সাথে পুলিশ সুপারের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় শুরু হয়েছে আরেক বিতর্ক।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!