এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এক চুল ও কেন্দ্রকে জমি ছাড়তে নারাজ গৌতম দিলেন বড়সড় হুঁশিয়ারি, জেনে নিন

এক চুল ও কেন্দ্রকে জমি ছাড়তে নারাজ গৌতম দিলেন বড়সড় হুঁশিয়ারি, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শিলিগুড়ি শহরে রেলের জমি জবর দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু বস্তি। কিন্তু এবার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তাদের জবরদখলকৃত জমি গুলি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা করেছে। এই কারণেই বস্তি উচ্ছেদের পরিকল্পনা করা হয়েছে। রেলের জমি থেকে বস্তি উচ্ছেদের বিষয়ে রেলকে প্রায় হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। গতকাল রবিবার শিলিগুড়িতে তৃণমূলের এক বিশেষ কর্মী সম্মেলনে মন্ত্রী জানালেন যে, বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে রেলের জমি থেকে কোন ভাবেই তাদের উচ্ছেদ করা চলবে না। জোর করে তাদের উচ্ছেদ করতে গেলে এর বিরুদ্ধে গড়ে তোলা হবে প্রতিরোধ।

প্রসঙ্গত শিলিগুড়ি শহরের আছে অসংখ্য বস্তি। শিলিগুড়ি শহরের পুরসভার অনুমোদিত বস্তির সংখ্যা হল ১৫৪ টি। আর অনুমোদনহীন বস্তি আছে ৪০ এরও বেশী। অনুমোদনহীন বস্তির বেশিরভাগই আছে রেলের জমিতে। শিলিগুড়ি শহরের ১, ৪, ৬, ৭, ২৪, ২৮, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছড়িয়ে আছে একাধিক অনুমোদনহীন বস্তি। এই বস্তিবাসীদের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে শাসকদল তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, বিকল্প পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে রেলের জমি থেকে কিছুতেই উচ্ছেদ করা যাবেনা বস্তিবাসীদের।

গতকাল রবিবার রেলের জমি থেকে বস্তি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। স্পষ্টভাবে তিনি হুঁশিয়ারি দিলেন, ” আর চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। ওরা যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষায় জবাব দিতে হবে। পুনর্বাসনের বিকল্প ব্যবস্থা না করে বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করতে আসলে ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ, রেলের অব্যবহৃত জমিতে ওই বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন।” পর্যটন মন্ত্রীর এই বক্তব্যকে হাততালি দিয়ে সমর্থন জানালেন তাঁর অনুগামীরা।

প্রসঙ্গত শিলিগুড়ি শহরে রেলের জমিতে থাকা বস্তিবাসীদের জমির পূর্ণ অধিকার দেবার দাবি জানিয়েছে একাধিকবার শাসকদল তৃণমূল। গতকালের সম্মেলনে বস্তিবাসীদের জমির অধিকার দেওয়ার দাবিতে পর্যটন মন্ত্রী ছাড়াও আরও বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী-সদস্য সরব হলেন। তাঁরা জানান যে, গত কয়েক দশক যাবত এই জমিতে বসবাস করেও বস্তিবাসীদের জমির অধিকার নেই। এদের মধ্যে অনেকেই আবার এনআরসিসি, সিএএ নিয়ে প্রচন্ড আতঙ্কে আছেন। তাই তাদের পাট্টা দেওয়া একান্ত আবশ্যক। আবার, কিছুদিন আগেই শিলিগুড়ি শহরের বস্তিবাসী ও উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দাদের দ্রুত পাট্টা দেবার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বেশ কিছু উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দাকে পাট্টা দেয়া হয়েছে। বাকিদেরও দেবার পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু রেলের জমিতে বসবাসকারীদের পাট্টা দেবার বিষয়ে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকালের পর্যটন মন্ত্রীর বক্তব্য ও হুঁশিয়ারি বিষয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বললেন, ” জবরদখল হয়ে যাওয়া রেলের জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা অনেক দিন ধরেই চলছে। নিয়ম মেনে নোটিস দিয়ে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়। এটা অব্যাহত থাকবে। আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে স্থানীয় থানার সহযোগিতা নেওয়া হবে।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন যে, রেলের
অপ্রয়োজনীয় জমি রাজ্য সরকার নিতে পারে। কিন্তু তার জন্য রাজ্যকে সমস্ত কিছু নিয়ম মেনে তার আবেদন জানাতে হবে। রেল তাদের জমি হস্তান্তর করলে তবেই রাজ্য সরকার বাসিন্দাদের জমির পাট্টা দিতে পারবে।

প্রসঙ্গত গতকাল পর্যটন মন্ত্রীর বক্তব্য কেন্দ্র করে শিলিগুড়ি শহরের রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে সিপিএমের বস্তি উন্নয়ন কমিটির রাজ্য সহ সভাপতি দিলীপ সিং জানালেন যে, এভাবে কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে না। পর্যটন মন্ত্রীর বক্তব্য উসকানিমূলক। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান যে, বামফ্রন্টের আমলে রেলের কাছ থেকে বেশকিছু জমি কিনে নিয়ে নিবেদিতা মার্কেট, হকার্সকর্নার করা হয়েছিল শিলিগুড়িতে। সেইসঙ্গে শিলিগুড়ি শহরের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের বস্তিবাসীদের জমির পাট্টাও দেওয়া হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, ” আমরা চাই, ওভাবে বস্তিবাসীদের জমির অধিকার প্রদান করুক রাজ্য সরকার। তা না হলে কেন্দ্রীয় সরকার ওই জমি রাজ্যকে হস্তান্তর করুক।” অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল এর বক্তব্য, এরকম কথাবার্তা না বলে রেলের জমিতে বসবাসকারীদের কিভাবে জমির অধিকার দেওয়া যেতে পারে, সে বিষয় নিয়ে মন্ত্রীর চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!