এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > এক করোনাতেই রেহাই নেই, সচেতন না হলে আবার নতুন করে তীব্র মহামারীর অশনিসংকেত দেখছেন বিজ্ঞানীরা

এক করোনাতেই রেহাই নেই, সচেতন না হলে আবার নতুন করে তীব্র মহামারীর অশনিসংকেত দেখছেন বিজ্ঞানীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমণ সারাবিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। সংক্রমণ, রোগভোগ, মৃত্যু আতঙ্কিত করে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। সারাবিশ্বের মানুষকে গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছে। সারাবিশ্বকে নিমেষের মধ্যে অচল করে দিয়েছে করোনা। কিন্তু এটা কিছুই নয়, মানুষ যদি এখনো সতর্ক না হয়, তবে আবার হানা দিতে পারে মহামারী। করোনা মহামারীর চেয়ে যা কয়েক গুণ ভয়াবহ হতে পারে। নিমেষের মধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে যা থেকে।

বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এক দশক পরে অতিমারী রূপে হানা দিতে পারে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু এখনো পর্যন্ত তেমন ভয়াবহ না হলেও। আগামী দিনে তা অত্যন্ত দুঃসহ হতে চলেছে। যেখানে নিমেষের মধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষের সংক্রমণ ও মৃত্যুর আশঙ্কা আছে। করোনা মহামারীকে যা অনেকদূর পেছনে ফেলে দিতে পারে। সংক্রমণ দ্রুত এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যাপক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বিশেষত শহরে মাত্রাছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধি, গ্লোবাল ওয়ার্মিং পরিবেশের ভারসাম্যকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই যে ভাইরাস আগে ছিল দুর্বল, নিমেষের মধ্যে সে ভাইরাস অতি সক্রিয় হতে শুরু করেছে। ঘনবসতির কারণে খুব সহজে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। শহরাঞ্চলে কোন রোগের সূত্রপাত ঘটলে তা খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ছে। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সংক্রমণ যতই ছড়াচ্ছে, ততই নিউটেশন ঘটিয়ে নিজেকে আরো শক্তিশালী করে নিচ্ছে মারন ভাইরাস গুলি। যা দেখা গেছে করোনার ক্ষেত্রে। এছাড়া ব্যাপকহারে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারের কারণে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া তৈরি হচ্ছে শরীরে। যা অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতাকে রুখে দিতে পারে। ফলে, অবস্থা আরো খারাপ হতে চলেছে। এ বিষয় থেকে মুক্তি দিতে একদিকে যেমন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি করার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা, অন্যদিকে তেমনি মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এগিয়ে আসার আর্জি জানানো হয়েছে। রাজনীতি বা চাপের বশবর্তী না হয়ে সঠিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে না পারলে মহামারীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবেনা। ভুল তথ্য প্রচার ও মিথ্যা তথ্য প্রচার বন্ধ রাখতে হবে। চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সহজ লভ্য করতে হবে। চিকিৎসাব্যবস্থা যদি অধিক ব্যয়বহুল হয়, তবে সকল মানুষ তার সুবিধা কখনোই নিতে পারবেন না। এজন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রচুর সরকারি হাসপাতাল গড়তে হবে। যেখানে আধুনিক চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা পাওয়া যাবে। কোথাও কোন সংক্রমণ দেখা দিলে, তা দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে ও সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এর সঙ্গে সঙ্গে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে বৈজ্ঞানিক ও গবেষকদের। কোন মারণ ভাইরাসের উৎপত্তি, এই ভাইরাসের মিউটেশন সমস্ত দিকে নজর রাখতে হবে। তাই উপযুক্ত গবেষণা সর্বদা চালাতে হবে। কারণ, যদি সংক্রমণ ঘটে, তবে কোন বিশেষ শ্রেণীর মানুষ নয়, সমস্ত মানুষের জন্য বিপদ। একারণেই বিশেষভাবে সচেতন থাকার কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। সমস্ত দেশকে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির কথাও বলছেন বিজ্ঞানীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!