এক ঘন্টা অপেক্ষায় সার! প্রিয় ‘ছোড়দাকে’ শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা! বিশেষ খবর রাজ্য July 31, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ঘটে গেল এক বিরাট ইন্দ্রপতন। বিখ্যাত কংগ্রেস রাজনীতিবিদ তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির এক বিরাট ব্যক্তিত্ব সোমেন মিত্র আজ ৩০ সে জুলাই দক্ষিন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৭৮ বছর বয়সে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেছেন। প্রসঙ্গত, প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সম্পর্কটি ছিল কিছুটা অম্ল-মধুর।সোমেন বাবু একসময় রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমেন বাবু বহুকাল আগে প্রয়াত রাজ্য কংগ্রেস নেতা গণিখান চৌধুরীর ভাবশিষ্য বলে কংগ্রেস মহলে পরিচিত ছিলেন। মূলত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদের নির্বাচন নিয়ে একসময়ে রাজনৈতিক বিবাদ শুরু হয় মমতা ব্যানার্জী ও সোমেন বাবুর মধ্যে। এই বিবাদের ফলে রাজ্যের কংগ্রেস দলটি প্রায় দুটি সমান্তরাল শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কংগ্রেস দোল ত্যাগ করার সময় থেকেই রাজ্যে ধস নামে কংগ্রেস দলে। দুর্বল হয়ে পরে এই দলটি। শেষ পর্যন্ত সোমেন বাবুও ইস্তফা দেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে। কিন্তু এর কয়েকবছর পর ২০০৯ সালে সোমেন বাবু যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর তৃণমূলে। কিন্তু ২০১৪ সালে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ত্যাগ করেন সোমেন বাবু, আবার ফিরে আসেন কংগ্রেসে। তবে, তৃণমূল দল ত্যাগ করলেও সোমেন বাবুকে কখনো অমর্যাদা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে বজায় রেখেছেন সম্পর্ক। কিছুদিন আগে থেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সোমেন বাবু দক্ষিন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলে নিয়মিত তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আজ বেলা ১২ টায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন বাবুর মরদেহ শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবন থেকে বিধাসভায় আনবার কথা ছিল। সোমেন বাবুকে শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু প্রিয় ছোড়দা কে শেষপর্যন্ত আর শেষ সন্মান জানাতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ১ ঘন্টা অপেক্ষা করেও দেখা পান নি সোমেন বাবুর শববাহী গাড়ির। তাই শেষ পর্যন্ত রাজ্য বিধাসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে বিধান সভা থেকে বেরিয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, বেলা ১২ তাই সোমেন বাবুর দেহ আসবে বলে তিনি বিধানসভায় অপেক্ষা করেছিলেন , কিন্তু একঘন্টা পরেও বিধান ভবন থেকে সোমেন বাবুর মরদেহ বিধানসভায় এসে পৌঁছায়নি। শেষ পর্যন্ত বিলম্বের পর সোমেন বাবুর মরদেহ বিধানসভায় পৌঁছালে সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরা। আপনার মতামত জানান -