এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এক হেভিওয়েট নেতাকে কাছে টানাতে মমতার থেকে দূরে সরে গেলেন আরেক হেভিওয়েট নেতা? বাড়ছে জল্পনা

এক হেভিওয়েট নেতাকে কাছে টানাতে মমতার থেকে দূরে সরে গেলেন আরেক হেভিওয়েট নেতা? বাড়ছে জল্পনা


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পাহাড় সমস্যা যেন কিছুতেই মিটছে না। একসময় বিমল গুরুং তৃণমূল সরকারের ঘনিষ্ঠ হলেও, মাঝে তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে‌। যার পরে পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি তৈরি হয়। যেখানে বিমল গুরুং বিজেপির হাত ধরার পর জিটিএর দায়িত্ব চলে যায় তার বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা মোর্চার বিনয় তামাংয়ের উপর। আর এরপর থেকেই কার্যত পাহাড়ের রাজনীতি থেকে অদৃশ্য হয়ে পড়েন সেই বিমল গুরুং।

তবে কিছুদিন আগেই আবার এনডিএ ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরার কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকেও তাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিমল গুরুংয়ের অনুপস্থিতিতে পাহাড় সামলানো বিনয় তামাং এবং তার গোষ্ঠী কার্যত ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ। কোনোভাবেই যে তারা বিমল গুরুংয়ের দাদাগিরি পাহাড়ে মেনে নেবেন না, তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। তবে যদি বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাংয়ের গোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয় বজায় না রেখে রাজ্য সরকার কোনো একটা গোষ্ঠীতে বেছে নিয়ে কাজ করে, তাহলে সমস্যা চরম আকার ধারণ করতে পারে।

পাশাপাশি সামনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাহাড় যদি অশান্ত হতে শুরু করে, তাহলে বিরোধীরা সেটাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়বে। তাই এই পরিস্থিতিতে এবার বিমল গুরুং এবং রোশন গিরিদের বেছে নিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বৃত্ত থেকে বিনয় তামাংকে দূরে নিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন একাংশ। যার ফলে এতদিন বিমল গুরুং পাহাড়ে রাজনীতিতে মাথাব্যথার কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে হয়ে দাড়ালে, এবার সেই বিমল গুরুং তৃণমূলের কাছাকাছি আসায় বিনয় তামাং এবং তার গোষ্ঠীরা তৃণমূলের প্রধান মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, রবিবার সাড়ে তিন বছর পর পাহাড়ে প্রথম পা রেখে কার্শিয়াংয়ে সভা করেছেন রোশন গিরি। যেখানে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী 6 ডিসেম্বর শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্কে সভায় উপস্থিত হবেন বিমল গুরুং। আর সেই সভা থেকেই পাহাড়ে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিমল গুরুং পাহাড়ে পা রাখলে এবং রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হলে তাকে যে কোনভাবেই মেনে নেবে না বিনয় তামাং এবং তার গোষ্ঠী, তা কার্যত পরিষ্কার।

তাই বিমল গুরুং যদি পাহাড়ে পা রাখেন এবং দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যদি লড়াই শুরু হয়ে যায়, তাহলে পাহাড়ের শান্তি বিঘ্নিত হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে খুব একটা ভালো হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্যাম রাখবেন, নাকি কুল রাখবেন, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। ইতিমধ্যেই বিনয় তামাংয়ের গোষ্ঠী পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিমল গুরুং এবং রোশন গিরিদের সাথে কোনোমতেই এক ভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।

আর বিমল গুরুং পাহাড়ে সক্রিয় হওয়ার কথা জানানোর পর নবান্নে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই ব্যাপারে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল বিনয় তামাংকে। যার পরে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সমাধান হয়েছিল। কিন্তু এবার দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর রোশন গিরি পাহাড়ে সভা করে বিমল গুরুং এবং তার গোষ্টীর সংগঠনকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই উদ্যোগে যে খুব একটা খুশি নয় বিনয় তামাংরা, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। আর এখানেই তৈরি হয়েছে সমস্যা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমল গুরুং বিজেপির হাত ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আসায় তৃণমূলের অনেকটাই লাভ হল বলে শাসক দলের একাংশ মনে করেছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে শুরু করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ গোটা রাজ্যকে শান্ত রাখা। কেননা এই সময় যদি কোনো একটি অঞ্চল অশান্ত হয়ে পড়ে, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনে সেটাকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা ময়দানে নেমে পড়বে।

সেক্ষেত্রে পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুং সক্রিয় হতে শুরু করলে এতদিন পাহাড় সামলানো বিনয় তামাংরা কোনোমতেই তা মেনে নেবেন না। যার ফলে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোলে পাহাড়ের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শিকেয় উঠে যেতে পারে। আর যদি সেই সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে তার সমাধান করতে আবার হিমশিম খেতে হতে পারে রাজ্য সরকারকে। তাই এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমল গুরুংয়ের মত নেতাকে নিজের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে আনতে চাইলেও, তার এই উদ্যোগ তৃণমূলের অনেককেই ভাবতে শুরু করেছে।

যদি এক নেতাকে কাছে টানতে গিয়ে আরেক নেতা বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসেন, তাহলে কিভাবে গোটা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে, সেটাই প্রধান চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কিভাবে এই সংকটকে মোকাবিলা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!