এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া যাবে না! গালওয়ানের পর প্যাংগং-সোতেও চীনকে চাপে রাখছে ভারতের বীর সেনারা

এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া যাবে না! গালওয়ানের পর প্যাংগং-সোতেও চীনকে চাপে রাখছে ভারতের বীর সেনারা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সোমবার রাতে ভারত-চীন লাদাখ সীমান্ত বরাবর গলওয়ান উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অসম লড়াই চলেছে ভারত-চীন সেনাবাহিনীর মধ্যে। এই লড়াইতে এখনো পর্যন্ত 20 জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহীদ হয়েছেন বলে খবর। অন্যদিকে চীনেরও কমবেশি 40 জন সৈনিক হতাহত হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু যেভাবে চীন ভারতীয় সেনা জওয়ানদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং তাঁদের হত্যা করেছে তা সামনে আসার সাথে সাথেই আপামর ভারতবাসী চীনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে সূত্রের খবর, ভারত ও চীনের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে কূটনৈতিক স্তরেও চীনের সুর কিছুটা নরম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু স্যাটেলাইট চিত্রে অন্য ছবি দেখা যাচ্ছে। সেটাই সবথেকে আশঙ্কার। কারণ ভারর চীন নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দেখা যাচ্ছে, ক্রমাগত চীন সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে। এমনকি সেখানে নির্মাণ কাজের জন্য কাঁচামালও মজুদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আগেই প্যাংগং সোতেও চীনা সেনাদের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গিয়েছিল।

আপাতত ভারতের পক্ষ থেকে চীন-ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর নজর রাখার জন্য দলে দলে সেনা-জওয়ান সেখানে গেছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে ভারত চীন সীমান্ত যুদ্ধ নিয়ে একের পর এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক চলছে। পুরো ব্যাপারটি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে মিটে যায় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে খবর। চীন সীমান্ত নিয়ে বরাবরই উত্তপ্ত আলোচনা চলেছে ভারতের কূটনৈতিক মহলে। এর আগে বহুবার আলোচনার পর ঠিক হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দু’দেশের সৈনিক সরে দাঁড়াবে। এবং সেটি নো ম্যান্স ল্যান্ড রূপে পরিচয় পাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় এই সিদ্ধান্তের পুরো বিপরীত কাজ করে চলেছে চীন। সম্প্রতি জানা গিয়েছিল, ভারতীয় ভূখণ্ডে প্যাট্রল পয়েন্ট 14 তে সেনাঘাঁটি তৈরি করতে শুরু করে চীন। জানা গেছে এই সেনাঘাঁটি থেকেই সোমবার গালওয়ানে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের ওপর হামলা চালানো হয়। যার ফলস্বরুপ ভারতীয় সেনা জওয়ানরা শহীদ হন। এই হামলার পর যে স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ পায়, তাতে দেখা যাচ্ছে গালওয়ান উপত্যকায় একের পর এক চীনা সেনাবাহিনী এসে দাঁড়াচ্ছে। প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করছে যেগুলি চীনা সেনাবাহিনীর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে চীন এবং ভারতের যুদ্ধ হয়েছিল এই গালওয়ান উপত্যকাতেই। সেখানে দীর্ঘদিন যুদ্ধ চালানো খুবই কষ্টজনক। কারণ জায়গাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং অত্যন্ত ঠান্ডা সারাবছর। কাজেই দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চালানো কোন দেশের পক্ষেই সম্ভব নয়। অন্যদিকে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে ভারত চীন পরিস্থিতি একেবারে যুদ্ধকালীন বাঁক নেবে, তা নাও হতে পারে। আপাতত দেশের সামরিক স্তরে এবং কূটনৈতিক স্তরে ক্রমাগত আলোচনা চলছে। আর এই আলোচনাই ইঙ্গিত দিচ্ছে বড় মাপের কোনো সিদ্ধান্ত হয়তো নাও নেওয়া হতে পারে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন ভারত সীমানা সমস্যা এত সহজে মেটার নয়। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, ভারতের সীমানা পরিস্থিতি যেভাবে উত্তেজিত হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহলে তা নিয়ে যথেষ্ট চাপে পড়তে হতে পারে চীনকে। ইতিমধ্যেই করোনা পরিস্থিতির কারণে চীন যথেষ্ট কোণঠাসা আন্তর্জাতিক মহলে। তার ওপর নতুন করে যেভাবে চীন অশান্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে তা হয়তো ভালো চোখে দেখবে না কেউ। অন্যদিকে ভারতের বুকেও এবার চীনকে কোণঠাসা করার জন্য সর্বাগ্রে তৈরি হচ্ছে ভারতবাসী। ইতিমধ্যে চীনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়েছে আপামর জনগণ। এই অবস্থায় চীন কি করে পুরো পরিস্থিতি সামাল দেয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!