এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “এক ফুল, দো মালি”! তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল রুখতে এবার অভিনব ফর্মুলা! গুঞ্জন দলের অন্দরেই

“এক ফুল, দো মালি”! তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল রুখতে এবার অভিনব ফর্মুলা! গুঞ্জন দলের অন্দরেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের সবথেকে বড় সমস্যার কারণ তাদের দলের দ্বন্দ্ব। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুরনো বনাম নতুন নেতাকর্মীদের মধ্যেকার বিবাদ বারবার অস্বস্থিতে ফেলেছে শাসক দলকে। তবে সেই দ্বন্দ্ব আটকাতে এতদিন তৃণমূলকে কখনও কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে, আবার কখনও বা কোনো একটি গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দিতে দেখা গেছে। কিন্তু এবার একটি অঞ্চলের দায়িত্ব পেলেন দুজন তৃণমূল নেতা। বস্তুত, এতদিন নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া অঞ্চলে তৃণমূল সভাপতির পদ শূন্য ছিল। রবিবার সেখানে দুজনকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

কিন্তু একটি অঞ্চলে কেন দুজন সভাপতি নিয়োগ করা হল? জানা গেছে, এই অঞ্চলের অধীনে থাকা 25 টি বুথকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার একটির অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে রাজু গুড়িয়াকে এবং অন্যটির অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে রঘুনাথ মাইতিকে। স্বাভাবিক ভাবেই দ্বন্দ্ব থামাতেই যে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ নিয়ে তৃণমূলের দিকে নানা অভিযোগ উঠতে দেখা গিয়েছিল এই নন্দীগ্রামে।

আর সেই সময়ই তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্থানীয় নেতা, পঞ্চায়েত সদস্য সহ 188 জনকে শোকজ করা হয়। যার ফলে ব্লক সভাপতির নির্দেশে ভেকুটিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন পঙ্কজ দাস। আর এরপরই ভেকুটিয়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি কাকে করা হবে, তা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই 10 টি বুথ নিয়ে গঠিত ভেকুটিয়া পার্ট ওয়ানের দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজু গুড়িয়াকে এবং 15 টি বুথ নিয়ে গঠিত ভেকুটিয়া পার্ট বির দায়িত্ব দেওয়া হয় রঘুনাথ মাইতিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু একটি অঞ্চলের দুইজন নেতা দায়িত্বে থাকলে, তাদের মধ্যে তো আরও গন্ডগোল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে! তখন তৃণমূল কিভাবে সামাল দেবে?, এদিন এই প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মেঘনাথ পাল বলেন, “ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চল এলাকা অপেক্ষাকৃত বড়। তাই সাংগঠনিক কাজের সুবিধার্থে দুটি অংশে ভাগ করে দু’জন সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে। সবাই সমন্বয় রেখে কাজ করবেন। ব্লক থেকেও নজরদারি থাকবে। লোকসভা ভোটে কিছু বুথে পিছিয়ে থাকলেও ভেকুটিয়ায় এখন আমাদের সাংগঠনিক পরিস্থিতি অনেকটা মজবুত হয়েছে।”

এদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, “ভেকুটিয়ার ব্যাপারে ব্লক নেতৃত্বকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছিল। অন্যত্র এলাকা ধরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে যা করণীয়, সেটাই শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতি নিয়ে করা হবে।” তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূল নেতৃত্ব একটি অঞ্চলের দুজন সভাপতি নিয়োগ করলেও, তারা কতটা সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!