এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > জেলা সভাপতির দল ছাড়ার পর এবার তাঁকে ঘিরে বিস্ফোরক মন্তব্য গেরুয়া শিবিরের? জেনে নিন

জেলা সভাপতির দল ছাড়ার পর এবার তাঁকে ঘিরে বিস্ফোরক মন্তব্য গেরুয়া শিবিরের? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলে। দলের একের পর এক নেতা, কর্মী, বিধায়ক দল ছাড়তে শুরু করেছিলেন। স্থানে স্থানে চলেছিল বিজেপির যোগদান মেলা। কিন্তু নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের স্রোত চলছে। মুকুল রায়ের প্রত্যাবর্তনের পর বিজেপির ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল ৮ জন অনুগামী সহ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। দক্ষ জেলা সভাপতি ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যেমন সাফল্য পেয়েছিল, তেমনই বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলার সমস্ত আসন বিজেপির দখলে এসেছে।

একসময়ের আরএসএস এর ঘনিষ্ঠ নেতা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার একাধিক অনুগামী সহ তৃণমূলে যোগদান, বিজেপিকে ফেলে দিতে পারে তীব্র বিপাকে, এমনটাই মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তবে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চাইছে না বিজেপি নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে বিজেপির জনৈক নেতা জানালেন যে, গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বিমল গুরুংয়ের চেয়ে বড় নেতা নন। বিমল গুরুং পাহাড় থেকে সমতলে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেছেন। কিন্তু জয় আনতে পারেননি। তেমনি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা চলে গেলে, এতে দলে কোন প্রভাব পরবে না। অনেক বড় নেতা দলে আসবেন। জনগণ ভোট দিয়ে উত্তর বঙ্গে বিজেপিকে জিতিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার, এ প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জণ বার্লা জানালেন যে, সমুদ্র থেকে যদি এক বালতি জল তুলে নেয়া হয়, তবে তার কোনো প্রভাব পড়ে না। অন্যদিকে, তৃণমূলে যোগদান করার পর গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা জানিয়েছেন যে, আগেই তিনি দল ছাড়তে পারতেন, কিন্তু তাহলে তাকে গদ্দার বলা হত। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, দলে তাঁকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছিল না। এজন্য দীর্ঘদিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল তাঁর। তবে দলকে তিনি ডুবিয়ে দেননি।

তিনি নিজের কাজ করে পাঁচটি আসনে দলকে জিতিয়েছেন। এরপর তিনি এসেছেন তৃণমূলে। তিনি দলের কাছে গদ্দার নন। তিনি অভিযোগ করেছেন, দলের নষ্টের পেছনে রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। দিল্লিকে তিনি ভুল খবর দিয়েছেন। একজন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হয়ে তিনি রোডশো করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ভোটের সময় বিজেপিতে অসহায় অবস্থায় ছিলেন স্বয়ং দিলীপ ঘোষ। তাঁর মত দক্ষ সংগঠককে দলে এনে আলিপুরদুয়ারে দলের সংগঠনকে মজবুত করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!