এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একদিকে কেন্দ্রের বঞ্চনা, অন্যদিকে বিজেপি নেতাদের বদনাম! বিজেপির বিরুদ্ধে জোড়া আক্রমন তৃণমূলের

একদিকে কেন্দ্রের বঞ্চনা, অন্যদিকে বিজেপি নেতাদের বদনাম! বিজেপির বিরুদ্ধে জোড়া আক্রমন তৃণমূলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আর মাত্র 6 মাস বাকি বাংলার বিধানসভা নির্বাচন হতে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনী লড়াই লড়তে এই মুহূর্তে বাংলার সবকটি রাজনৈতিক দল তৈরি হচ্ছে। তবে বাংলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে এবার কড়া টক্কর হচ্ছে রাজ্যের প্রধান দুই রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। রাজ্য যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল, ঠিক সেভাবেই দেশের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য ও কেন্দ্রের টানাপ্পড়েন দেখা যাচ্ছে বার বার।

দীর্ঘদিন ধরেই তৃনমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার। অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি ক্রমাগত তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল অভিযোগ জানাচ্ছে, গেরুয়া শিবির অসত্য কথা প্রচার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে। আর এই দ্বিমুখী আক্রমণ প্রতিহত করতে এবার সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নামলো তৃণমূল। একদিকে কেন্দ্র, অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপি, এই দুইয়ের বিরুদ্ধেই এবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ জানালো তৃণমূল।

সোমবার রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে এবং ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা এবং বাংলার প্রাপ্য প্রদানের দাবিতে কর্মসূচি নেয় তৃণমূল। সেক্ষেত্রে কোথাও হয়েছে অবস্থান-বিক্ষোভ, আবার কোথাও হয়েছে পথসভা, কোথাও হয়েছে মিছিল। তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে, রেল, বিমানবন্দরসহ সরকারি সংস্থাগুলির যেভাবে কেন্দ্র বেসরকারিকরণ করছে তা মোটেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দেশের বেকারত্বের সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে এদিন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর সাথেই বাংলার 56 হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র যে দিচ্ছেনা, সে প্রসঙ্গেও বলা হয়েছে সভায়। এদিন বেহালায় দলের কর্মসূচিতে যোগদান তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যের সুস্থ গণতন্ত্রকে নষ্ট করার অভিযোগ জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিজেপি যেভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন তিনি। জানা গেছে, এদিন বেহালায় তৃণমূলের কর্মসূচিতে শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি তৃণমূলে নাম লেখান। অন্যদিকে বিধাননগরের সিটি সেন্টারের কাছে একটি দলীয় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।

তিনি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির যে লক্ষ্য অর্থাৎ বিধানসভার মসনদ দখল করা, তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতায় এদিন মিছিল করেন দেবাশীষ কুমার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। উত্তর কলকাতায় পথে নামেন শশী পাঁজা, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলীয় কর্মীরা। বারাসাতে জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ব্যারাকপুরে তৃণমূলের হয়ে উপস্থিত থাকেন কৃষ্ণগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন জানা গেছে, বারাসাত পৌরসভার সিপিএম ও নির্দল এর এক প্রাক্তন কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, একুশের রাজনৈতিক যুদ্ধ যত এগিয়ে আসছে, ততই বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই যে খুব একটা সহজ হবে না কোনো দলের পক্ষেই, তা বর্তমানে স্পষ্ট। আপাতত রাজ্যের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের জমজমাট লড়াইয়ের দেখা মিলতে চলেছে বাংলার বুকে, আর তা নিয়ে নিশ্চিত সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!