এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একে মমতায় রক্ষে নেই তার উপরে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর ঘুম ওড়াতে হাজির আরেক হেভিওয়েটের চ্যালেঞ্জ

একে মমতায় রক্ষে নেই তার উপরে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর ঘুম ওড়াতে হাজির আরেক হেভিওয়েটের চ্যালেঞ্জ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এককালে তাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক গুরু বলা হত। কিন্তু সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায় এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। নেত্রী হিসেবে তাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সম্বোধন করতে হয়। তবে ঠেলায় পড়লে যে গুরুকে স্মরণ করতে হয়, এবার তা পরিষ্কার হয়ে গেল। বর্তমানে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র শাসক থেকে বিরোধী প্রত্যেকের কাছেই পাখির চোখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর এই কেন্দ্রে তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর তারপরেই নিজের প্রাক্তন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তৃণমূল নেত্রীকে পরাজিত করবেন। স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নন্দীগ্রামে দাঁড়ালে যদি তাকে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হতে হয়, তাহলে তা যে তার রাজনৈতিক জীবনের সবথেকে বড় লজ্জার কারণ হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করানোর জন্য সেখানকার দায়িত্বে আনা হল সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে।

সূত্রের খবর, তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্যতম দায়িত্বে। জানা গেছে, ভোটের আগে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা করা হবে। আর ফেব্রুয়ারি থেকে সেই কাজে নেমে পড়বেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই এখন রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আর তাই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মত দুঁদে রাজনীতিবিদকে ময়দানে নামাতে হচ্ছে তাকে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, সদ্য বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীর চোখ দিয়েই একসময় নন্দীগ্রাম সহ মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা দেখতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সেই তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পর প্রচন্ড চাপে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখে সেকথা না বললেও, নন্দীগ্রামে তিনি প্রার্থী হবেন বলার পরে শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা চ্যালেঞ্জের পর সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিল যে, নন্দীগ্রাম তাদের কাছে যথেষ্ট প্রেস্টিজ ফাইট। অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃনমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো। সেক্ষেত্রে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেই যে তাকে প্রচারের সময় দিতে হবে, তা নন্দীগ্রামে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার দিনেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে যদি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকমত সময় না দিতে পারেন এবং তার ফলে যদি পরাজয় হয়, তাহলে তৃণমূলের কাছে তা এযাবতকালের সবথেকে বড় হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই সেই ব্যাপারে কোনোরকম রিস্ক না নিয়ে রাজনৈতিক গুরু হিসেবে পরিচিত সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ভোটের আগে সেই নন্দীগ্রামকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল নেত্রী বলে দাবি করছেন একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি নন্দীগ্রামে গিয়ে প্রত্যেক বুথে বুথে যাব বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনগণের মতামত শুনব। সেখানকার সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝব।” একাংশ বলেছেন, এই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর তাকে গুরুত্ব দিতে রাজি ছিল না তৃণমূল কংগ্রেস।

তাই শুভেন্দু অধিকারী যে তাদের কাছে চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা এই উদ্যোগেই পরিষ্কার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন, অথচ তার জন্য বিশেষ কোনো নেতাকে দায়িত্ব নিতে হচ্ছে, তা সত্যিই অনেকের ক্ষেত্রে মানা সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে কি নন্দীগ্রাম তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সত্যিই বড় চাপের কারণ? আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত হেভিওয়েট নির্বাচনে দাঁড়ানো সত্ত্বেও সমীক্ষা করার জন্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সুব্রতবাবুর মত দুঁদে রাজনীতিবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই করার কেন্দ্র নন্দীগ্রামে মাটি এখন থেকে তৈরি করতে কতটা সক্ষম হন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!