এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > একেবারে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে, বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় নতুন মোড়

একেবারে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে, বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় নতুন মোড়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভার নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ পুরো আট দফা নির্বাচনে ঘিরে রাজনৈতিক হিংসার ছবি সামনে এসেছে। বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজি, গোলাগুলিতে প্রাণ গেছে অনেকের। প্রশ্ন উঠেছে কমিশনের ভূমিকা নিয়েও। ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের আগে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিল গেরুয়া শিবির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মালদা জেলার বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলা চলে এবং এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির দাবি ছিল, এর পেছনে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ এবং তারপরেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। জানা গিয়েছে, মালদার বিজেপি প্রার্থীকে গুলি করার ঘটনায় মদত ছিল এলাকারই আরেক বিজেপি নেতা তথা মন্ডল সভাপতির।

খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা সামনে আসায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পুলিশের দাবি, মালদার বিজেপির প্রার্থী গোপাল চন্দ্র সাহার ওপর হামলা চালানোর জন্য রীতিমতো সুপারি কিলার নিয়োগ করেছিলেন ধৃত বিজেপি নেতা নিতাই মন্ডল। পুলিশের অনুমান, এবারের নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ার জন্যই এই হামলা করানো হয়েছে। গত 18 এপ্রিল মালদার বিজেপির প্রার্থী গোপাল চন্দ্র সাহাকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। কিন্তু এই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়, গলা ছুঁইয়ে বেরিয়ে যায় গুলি। খুব স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছিল তৃণমূলের দিকে।

তৃণমূল দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করেছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু তদন্ত শুরু হওয়ার পর সামনে যে তথ্য এল, তাতে চাপে পড়তে হলে বিজেপিকেই বলে মত অধিকাংশের। প্রসঙ্গত, পুলিশ তদন্তে নেমে সূত্র ধরে এগোয় এবং 6 বিজেপি কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। তাঁদেরকেই জেরা করে সুপারি কিলারের হদিস পায় পুলিশ।  ঘটনার 7 দিনের মধ্যে সুপারি কিলার সাহেব ঘোষকে কালিয়াচকের শাহবাজপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং নগদ তিন লক্ষ টাকা। আর এই শ্যুটার ধরা পড়তেই বিজেপির মন্ডল সভাপতি নিতাই মন্ডলের নাম উঠে এসেছে। নিতাই মন্ডল পুরাতন মালদার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা বিরোধী দলনেতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি তিনি বিজেপির মন্ডল সভাপতিও ছিলেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, নিতাই মন্ডল সরাসরি সুপার কিলারকে টাকা দেয়নি। তাঁর দলের কর্মী-সমর্থকদের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দলীয় প্রার্থীকে খুনের চেষ্টার কারণ কি তা জানতে পুলিশ উঠেপড়ে লাগে। সূত্রের খবর, মালদায় প্রথম থেকেই প্রার্থীপদ নিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলেন নিতাই মন্ডল। সেইভাবে প্রস্তুতিও চালিয়েছেন। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয় গোপাল চন্দ্র সাহার নাম। ক্ষুব্ধ হয়ে নিতাই মন্ডল এরপর নির্দল হয়ে নির্বাচনে লড়াই করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

কিন্তু বিজেপি জেলা সভাপতির অনুরোধে সেই মনোনয়ন তিনি জমা করতে পারেননি। যথারীতি মনে করা হচ্ছে, টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে তিনি বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলা চালিয়েছিলেন সুপারি কিলার দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা সামনে আসায় তীব্র অস্বস্তি শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। আগামীকাল রাজ্যের ক্ষমতা কার হাতে উঠতে চলেছে, তা নির্ধারণ হবে। কিন্তু তার আগেই বিজেপি নেতাকে খুনের পরিকল্পনা ঘিরে যে তথ্য সামনে এলো, তা কার্যত চাপের মুখে ফেলবে গেরুয়া শিবিরকে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!