এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মুকুলের ‘মিশন তৃণমূল’ কি শুরু হয়ে গেল? একের পর এক হেভিওয়েট ঘাসফুল বিধায়কের পদক্ষেপে জল্পনা

মুকুলের ‘মিশন তৃণমূল’ কি শুরু হয়ে গেল? একের পর এক হেভিওয়েট ঘাসফুল বিধায়কের পদক্ষেপে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মুকুল রায় একের পর এক সাংসদ বিধায়ক দের ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করিয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি 18 টি আসন পাওয়ার পর সেই মুকুল রায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, যত দফায় লোকসভা নির্বাচন হয়েছে, সেই ঠিক তত দফায় তৃণমূল কংগ্রেসকে ভাঙ্গা হবে। যার পর বিভিন্ন জেলার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা এবং জনপ্রতিনিধির হাত ধরে প্রচুর কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেন। তবে মাঝে এই যোগদান পর্ব সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

যে মুকুল রায় বিজেপিতে তিন বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছেন, তিনি কোনো পদ না পাওয়ায় তৃণমূলের অনেকে বিজেপিতে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করেও তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান হয়ে আর গেরুয়া শিবিরের নাম লেখাননি। কিন্তু বর্তমানে সেই মুকুল রায় ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হয়েছেন। আর আশ্চর্যজনকভাবে মুকুল রায় বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পরই তৃণমূলের বিভিন্ন হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে বিধায়করা শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।

যার ফলে একাংশ বলছেন, এর পেছনে রয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। কেননা হঠাৎ করেই যেভাবে তৃণমূলের একের পর এক নেতা দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছেন, তাতে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে বলছেন, মুকুল রায় বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর তৃণমূলের অনেকেই আবার বিজেপিতে আসবার জন্য উৎসুক হয়ে রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমানে জেলা কমিটি গঠনে অনেক তৃণমূল নেতা অসন্তুষ্ট।

তাই তারা এবার প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মত প্রয়োগ করতে শুরু করেছেন। যার ফলে তৃণমূলের অস্বস্তি যেমন বাড়ছে, ঠিক তেমনই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন যে, এই সমস্ত তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের ইঙ্গিতেই প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন। আর কিছুদিনের মধ্যেই তারা হয়ত বা সেই মুকুল রায়ের হাত ধরেই যোগদান করতে পারেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। কিন্তু এমনটা যদি হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের সামনের দিন যে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হতে চলেছে, সেই বিষয়টি কার্যত পরিষ্কার রাজনৈতিক মহলের কাছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল সকলেই দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এমনকি মোহন বসু থেকে শুরু করে আশিস দত্তের মতো তৃণমূল নেতারাও সমস্ত পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই যখন প্রশান্ত কিশোর অত্যন্ত শৃঙ্খলামাফিক দল পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছেন, তখন একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, বিধায়ক এইভাবে বেলাগাম মন্তব্য করায় তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিভিন্ন জেলার তৃণমূল নেতারা প্রায় প্রতিদিন এইরকম বিস্ফোরক মন্তব্য করার পেছনে তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়ের সূক্ষ্ম মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনা রয়েছে বলেই দাবি করছেন একাংশ। অনেকে বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূল ভাঙ্গানোর উপর জোর দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। হয়ত বা ইতিমধ্যেই দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন মুকুল রায়। আর তাই কি তৃণমূলের প্রথমদিনকার নেতা, বিধায়করা এবার দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছেন!

তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। কেননা এত সাধ করে প্রশান্ত কিশোরের মত রাজনৈতিক রণনীতিকারকারকে এনে তার সমীক্ষার ভিত্তিতে তৃণমূল বিভিন্ন জেলার সংগঠন সাজালেও, সেখানে যেভাবে বিদ্রোহ সামনে আসছে, তাতে দলের অন্তর্কোন্দল না থামাতে পারলে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়তে হবে শাসক দলকে। আর এই অবস্থায় যেভাবে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন, তাতে তার পেছনে মুকুল রায়ের চাল রয়েছে বলেই দাবি করছে একাংশ।

অনেকে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলছেন, এক সময় এই মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেওয়ার সময় শাসকদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, একটা মুকুল রায় গেলে লক্ষ মুকুল রায় তৈরি হবে। কিন্তু এবার সেই একটা মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূল ভাঙতে শুরু করেছে। আর এতেই স্পষ্ট যে, মুকুলবাবুর রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তা কতটা সুচারু। আসছে দিন তৃণমূলের পক্ষে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হতে পারে। যদিও বা শাসকদল এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।

তাদের দাবি, তৃণমূলে শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি যাকে যেখানে দায়িত্ব দিয়েছেন, তারা সঠিকভাবেই তা পালন করবেন। যারা প্রকাশ্যে এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তাদের মান-অভিমান অচিরেই মিটে যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। সব মিলিয়ে এবার একের পর এক তৃণমূল নেতাদের বিদ্রোহ ঘোষণা মুকুল রায়ের পরিকল্পনা বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। তবে তৃনমূলের এই সমস্ত বিদ্রোহী নেতারা মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!