প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে আতঙ্কের ছায়া। একের পর এক বিজেপি নেতার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। এই কিছুদিন আগেই উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল পশ্চিমবাংলার রাজনীতির রণাঙ্গন।এবার পশ্চিমবঙ্গের একাধিক এলাকায় বিজেপি নেতাদের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের খবর এসেছে। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিজেপি ও স্থানীয় মানুষের মধ্যে।

স্থানীয় সংবাদসূত্রানুযায়ী, দক্ষিন ২৪ পরগনার সুন্দরবনের সাগর অঞ্চল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতা গৌতম মণ্ডলের মৃতদেহ। সাগর অঞ্চলের ২ নম্বর হাটখোলা এলাকার বিজেপি সভাপতি গৌতম মণ্ডলকে তাঁর বাড়ি থেকে অল্পদূরে জঙ্গলে একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিজেপি কর্মকর্তা গৌতম বাবুকে এই অবস্থায় দেখে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকার মানুষদের মধ্যে। খবর পেয়েই ঘটনাস্হলে পৌঁছান পুলিশ ও স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। গৌতম বাবুর আস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

সাগর অঞ্চলের স্থানীয় বিজেপি কর্মকর্তারা এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস এর আশ্রিত গুন্ডা- মস্তানেরা গৌতম বাবুকে বাড়ি থেকে ডেকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে বলে বিজেপি অভিযোগ করেছে। এমনকি খুনের পরিমান লোপাট করতেই গৌতম বাবুর মৃতদেহ গাছের উপরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে, বিজেপির অভিযোগ। গৌতম বাবুর এই অস্বাভাবিক মৃত্যু খুন না কি আত্মহত্যা – এই প্রশ্ন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের সাগর এলাকা।

অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাওয়া গেছে আরো এক বিজেপি নেতার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থাতে। বিজেপির জনৈক বুথ সভাপতি পূর্ণচন্দ্র দাসের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পূর্ণচন্দ্র বাবুর বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে তাঁর মৃতদেহ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পূর্ণচন্দ্র বাবুর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকেই অভিযুক্ত করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা।

বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, পূর্ণচন্দ্র বাবুকে তাঁর বাড়ি থেকে ডেকে দূর নিয়ে গিয়ে তাঁকে খুন করে, তাঁর মৃতদেহ গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁর খুনের প্রমান বিলোপ করতে। তবে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়ার কারণে পূর্ণচন্দ্র বাবুকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁর পরিবার পরিজনেরা। পূর্ণচন্দ্র বাবুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করতে তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।