এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একের পর এক কট্টর শুভেন্দু-বিরোধীদের মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দিয়ে কি অধিকারীদের চরম বার্তা মমতার?

একের পর এক কট্টর শুভেন্দু-বিরোধীদের মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দিয়ে কি অধিকারীদের চরম বার্তা মমতার?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শেষ কথা বলতেন অধিকারী পরিবারের সদস্যরা। কাথির শান্তিকুঞ্জ থেকেই পরিচালিত হত জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সেখানে বেশি নাক গলাতে দেখা যেত না। তবে সেই অধিকারী পরিবারের তিন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। প্রতিপক্ষ শিবিরে নাম দেখানোর পর শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে শিশির অধিকারী, সকলেই প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।

তবে তৃণমূলকে পরাজিত করার কথা বললেও, সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে বিরোধী আসনে বসতে হয়েছে পদ্মফুল শিবিরকে। তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেছেন। তিনি বিধানসভায় বিজেপির বিরোধী দলের নেতা হতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তা চূড়ান্ত নয়।

আর এই পরিস্থিতিতে যে অধিকারী পরিবার থেকে একসময় তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত হত, সেই অধিকার পরিবারের সিংহভাগ সদস্য যখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে, তখন তাদের বার্তা দেওয়ার জন্য অধিকারী পরিবারের চরম বিরোধী বলে পরিচিত বিধায়ককে রাজ্য মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, আসলে অধিকারী পরিবারকে বার্তা দেওয়ার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন।

বলা বাহুল্য, শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারী যখন তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন, তখন তাদের হাতেই গোটা জেলার সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে অধিকারী পরিবারের চরম বিরোধী ছিলেন বর্তমান রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। এমনকি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরাও এই কথা জানত।

অনেক ক্ষেত্রেই অধিকারী পরিবারের আপত্তির কারণে অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে শোনা যায়। কিন্তু এবার নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর প্রতিপক্ষ শিবিরে নাম লেখানো অধিকারী পরিবারকে বার্তা দেওয়ার জন্য সেই অখিল গিরিকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় জায়গা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করা হচ্ছে।

কেননা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লেখানোর পর তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কথায় কথায় আক্রমণ করতে শুরু করেছিলেন। তাই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে অখিলবাবুকে মন্ত্রী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারকে আরও কোণঠাসা করে দিতে চাইছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শুধু অখিল গিরি নন, অতীতের মত এবারেও সৌমেন মহাপাত্রকে মন্ত্রী করা হচ্ছে বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সৌমেনবাবুর সাথে শুভেন্দু অধিকারী বা অধিকারী পরিবারের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। তাই এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে দুই হেভিওয়েট বিধায়ককে আবার মন্ত্রী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন দলে থাকা পূর্ব মেদিনীপুরের সংগঠন পরিচালনা করা বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীকে জব্দ করার রাস্তা বেছে নিলেন। বলা বাহুল্য, শুভেন্দু অধিকারী বা অধিকারী পরিবারের সিংহভাগ সদস্য বিজেপিতে নাম লেখানোর পর তৃণমূলকে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

বারবার তাদের “বিশ্বাসঘাতক” বলে আক্রমণ করেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এতদিন দলে থাকার পরেও কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিক লোক চিনতে পারেননি! তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন। তবে নির্বাচনী সভা থেকেই এর জবাব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, পূর্ব মেদিনীপুরের সংগঠনের সবটাই দেখভাল করত অধিকারী পরিবার। সেখানে তাকে হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া হত না।

তাই সেভাবে তিনি এই জেলায় নজর দিতে পারেননি। তবে এখন থেকে তিনি এই জেলায় ভালোমতো লক্ষ্য রাখবেন। আর সেই মত করেই ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেই পূর্ব মেদিনীপুরে বাড়তি নজর দিয়ে অধিকারী পরিবারের চরম বিরোধী বলে পরিচিত দুই হেভিওয়েট বিধায়ককে আবার মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে সূক্ষ্ম কৌশল প্রয়োগ করলেন তৃণমূল নেত্রী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!