এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একের পর এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা NIA-এর টানা জেরার মুখে! ঝড় উঠতে চলেছে রাজ্য-রাজনীতিতে?

একের পর এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা NIA-এর টানা জেরার মুখে! ঝড় উঠতে চলেছে রাজ্য-রাজনীতিতে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রায় বছর দশেক আগে জঙ্গলমহলে মাওবাদী নেতাদের হাতে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাত নিহত হন, তারপর ভুবনেশ্বর-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ করা হয়। সম্প্রতি এই সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। গ্রেপ্তারের পর বহুদিন কারাবাস কাটিয়ে সম্প্রতি জঙ্গলমহলে ফিরেছেন মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতো।

একটা সময় জঙ্গলমহলে তাঁর বিশেষ প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল। জঙ্গল মহলে তাঁর প্রবাবকে কাজে লাগাতে শাসক দল তৃণমূল তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে তাকে স্থান দিয়েছে। সিপিএম নেতা হত্যার তদন্ত ও ট্রেন অপহরণের তদন্তের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে গত শুক্রবার ও শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী কোবরা ক্যাম্পে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতাও করেছিলেন বলে শোনা গেছে।

এবার লালগড় ব্লকের ধরমপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ মাহাতোর জেরা চালালো এনআইএ। গতকাল রবিবার ১০ টায় তাঁকে শালবনি কোবরা ক্যাম্পে উপস্থিত থাকবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গতকাল ১২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত টানা ৪ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, তার বিরুদ্ধে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতকে খুনের অভিযোগ আছে। এছাড়া গত ২০১৩ সালের ৪ ঠা ডিসেম্বর দিলীপ মাহাতো কে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিছুটা সময় জেল খেটে গত ২০১১ সালে তিনি জামিনে মুক্ত হন। এরপর ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলে তিনি ধরমপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতির পদ লাভ করেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,” তৃণমূল করছি বলে আমাদের ষড়যন্ত্র করে হয়রানির চেষ্টা চলছে। আবার ডাকলে  সহযোগিতা করব।”

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে তাঁর আইনজীবী কৌশিক সিনহা জানিয়েছেন যে, তাঁর মক্কেল দীলিপবাবুর বিরুদ্ধে লালগড় সালবনি ও গোপালপুর থানায় মোট ৩৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যার মধ্যে এখনো পর্যন্ত ১২ টি মামলায় তিনি বেকসুর খালাস লাভ করেছেন। আইনজীবীর দাবি, মূলত সিপিএম সরকারের বিপরীত করার জন্যেই তাঁকে এতোটা হেনস্থা করা হয়েছে।

সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনের ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত না থাকলেও তাকে রাজনৈতিক ভাবে দুর্বল করে দিতেই এভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১১ বছর ধরে ঝুলে থাকার পর আবার এই মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে । অন্যদিকে ধরমপুর অঞ্জন তৃণমূলের এসসিএসটি সেলের অঞ্চল সভাপতি সুন্দর মাণ্ডিকেও গতকাল শালবনি ক্যাম্পে দীর্ঘ চার ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!