তৃণমূলের আমলে বাংলা উগ্রপন্থী-রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল! অবস্থা কাশ্মীরের থেকেও খারাপ: দিলীপ নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শাসক দল তৃণমূলের প্রতি, রাজ্যের পুলিশের প্রতি একাধিক সময়ে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। গতকাল রবিবার বরানগরের টবিন রোডে চায় পে চর্চা অনুষ্ঠানে এসে রাজ্য সরকার, রাজ্য পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যকে উগ্রপন্থী ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল হিসেবে বর্ণনা করে, রাজ্যের অবস্থাকে কাশ্মীরের অবস্থা চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করলেন তিনি। গতকাল রবিবার সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বরানগরের টবিনরোড সংলগ্ন এলাকায় এসে চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন। প্রথমে তিনি গাড়ি করে ডানলপ মোড়ে এসেছিলেন। সেখান থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন টবিন রোডে। সেখানে তিনি চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সম্প্রতি উগ্রপন্থী, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় স্থল হয়ে উঠেছে। তাই এখানকার অবস্থা কাশ্মিরের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছে। তাঁর অভিযোগ, উগ্রপন্থীরা অন্য রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নিচ্ছে। তিনি জানালেন, কোচবিহার থেকে বর্তমানে ৬ জন উগ্রপন্থী ধরা পড়েছে। তাঁর অভিযোগ, উত্তরবঙ্গে তাঁর ওপর যারা হামলা করেছিল, তারা ছিল বহিরাগত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, ভালোভাবে হামলাকারীদের মুখগুলো সামনে থেকে দেখলেই বোঝা যাবে যে, হামলাকারীরা ভারতীয় নয় তারা রোহিঙ্গা। তাঁর দাবি, এরাই তৃণমূলের জন্যে ভোট করে থাকে, এরাই ভোটে জেতায় তৃণমূলকে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, বাংলাদেশের খালেদা জিয়া বলেছেন যে, ভারত থেকে দুষ্কৃতীরা বাংলাদেশে গিয়ে অত্যাচার চালাচ্ছে। তাঁর কথায়, এটা খুব চিন্তার বিষয় যে, দেশের সুরক্ষার বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। এ কারণেই তৃণমূল সরকারের পরিবর্তনের সময় এসে গিয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান যে, একটা সময় তিনি জানতে পারেন যে, তাঁর নাম জঙ্গিদের হিটলিস্টে এক নম্বরে আছে। তবে ভয় পান না তিনি। তাঁর দাবি, তৃণমূল সরকার ক্ষমতা থেকে অপসারিত হলে পশ্চিমবঙ্গের শান্তি ফিরে আসবে। এই অনুষ্ঠানে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি জানালেন যে, শাসকদল তৃণমূলের যে নেতারা তাঁকে নিয়ে কুকথা বলে থাকে, তাঁরা নিজেরাই পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। আসলে হেরে বসে আছেন তাঁরা। নৈতিকভাবে ক্ষমতা হারিয়েছেন তাঁরা। আগামি মে মাসে তাঁরা ক্ষমতা থেকে চলে যাবেন। গতকালের এই অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিজেপি সমর্থকদের উজ্জীবিত করে জানালেন যে, আগামী মে মাসে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ৪০ শতাংশ ভোট দিয়ে বিজেপিকে এগিয়ে রেখেছে লোকসভাতে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাম, তৃণমূল, কংগ্রেস, মিম সব জোটবদ্ধ হলেও, এককভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারবে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান যে, শাসকদল তৃণমূল অত্যাচারী। তাই তাদের বাংলার মানুষ ভোট দেবে না। বিজেপি একমাত্র দল যারা আগামী দিনে রাজ্যের বিকাশ করবে, রাজ্যের উন্নয়ন করবে। তাঁর কথায়, পুলিশ দিয়ে কখনো ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব নয়। পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করলেন যে, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে থাকে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধেও মিথ্যা কেস দেওয়া হয়েছে। তবে, আইনগত ভাবে মামলা লড়ছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, পুলিশের মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে। এভাবেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। আপনার মতামত জানান -