এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এখনও ক্ষতিপূরণের আর্জি জানানোর সুযোগ পেয়েছেন আমপানে ক্ষতিগ্রস্তরা

এখনও ক্ষতিপূরণের আর্জি জানানোর সুযোগ পেয়েছেন আমপানে ক্ষতিগ্রস্তরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় তিন মাস আগে রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে যায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপান। লন্ডভন্ড হয়ে যায় কলকাতা, দুই 24 পরগনা, মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন এলাকা। আর এই ঝড়ের পর এই নবান্নে বসে রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হতাশায় ভেঙে পড়েন তিনি। বিমর্ষের সহিত বলেন, “আমার দুই 24 পরগনা শেষ হয়ে গেল।” বাস্তবিক অর্থেই ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ের পরে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ঘরের ভঙ্গুর রূপ সামনে আসতে শুরু করে। আর এরপরেই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের অর্থনৈতিক সাহায্যের উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে সেই সাহায্য নিয়ে নানা মহলে নানা অভিযোগ উঠেছে।

তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে সেই দুর্যোগের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। যার ফলে অনেকেই সাহায্য পাননি বলে দাবি করেছেন। তবে এবার নতুন করে এই ক্ষতিপূরণের সাহায্য পাওয়ার জন্য আবেদন জানানো শুরু করেছেন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তরা। জানা গেছে, গত ছয় এবং সাত আগস্ট দ্বিতীয় পর্বে এই ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনপত্র জমার নতুন করে সুযোগ দেয় সরকার। ইতিমধ্যেই সেই সময় সীমা অতিক্রম করেছে।

তবে আবার নতুন করে যাতে সরকার সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময় বেধে দেয়, তার জন্য আশায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাই ইতিমধ্যেই অনেকে ব্লক অফিসে গিয়ে আবেদনপত্র জমা করতে শুরু করেছেন। জানা গেছে, গড়বেতা, চন্দ্রকোনা সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লকে ক্ষতিগ্রস্তরা ব্লক প্রশাসনের কাছে এই ক্ষতিপূরণের আবেদন করছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে সুধীর বাগদী, তাপস মন্ডল সহ বেশ কয়েকজন মানুষ বলেন, “সবাই বলছে ব্লক অফিস দরখাস্ত নিচ্ছে। তাই দিতে এসেছি। যদি পাই ক্ষতিপূরণ‌। অনেকেরই ঝড়ে কিছু হয়নি। তাও টাকা পেয়ে গেছে। তাই আমরা আবেদন করেছি। যদি টাকা পাই পুজোর আগে কাজে লাগবে।” কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আবার নতুন করে এই ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দরখাস্ত নেওয়ার ব্যাপারে কোনো নির্দেশিকা কি এসেছে?

এই প্রসঙ্গে গরবেতা মানি যুগ্ম ভিডিও বিশ্বনাথ ধীবর বলেন, “সবাইকে বলা হচ্ছে আর আবেদন জমা নেওয়া হবে না। তবু প্রতিদিন অনেকেই আসছেন। আবার অনেকে আবাস যোজনা আবেদন করছেন। সরকারি নির্দেশিকা না থাকায় আমরা কোথাও আবেদনপত্র জমা নিচ্ছি না। ওরা নিজেরাই রেখে যাচ্ছেন।”

এদিকে এই ব্যাপারে ব্লক তৃণমূল সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন, “সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও আমপানের আবেদন বহু পড়েছে। দেখছি কি করা যায়।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই থেকেই প্রমাণিত যে প্রকৃত উপভোক্তারা অনেকেই সাহায্য পাননি। যার ফলে এখন সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ না আসলেও সেই সমস্ত মানুষেরা আবেদন করতে শুরু করেছেন। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, এই সমস্ত মানুষদের আবেদন প্রশাসন গ্রহণ করে কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!