এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এখনও কমিটি ঘোষণা না হলেও প্রভাবশালী নেতাদের নামে পড়ছে ফ্লেক্স! অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে!

এখনও কমিটি ঘোষণা না হলেও প্রভাবশালী নেতাদের নামে পড়ছে ফ্লেক্স! অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের শৃঙ্খলা পরায়ন দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে রীতিমত মরিয়া হয়ে উঠেছে। যার কারণে রাজ্য থেকেই জেলাস্তরে সমস্ত নেতা এবং পদাধিকারীদের নাম ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। এতদিন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ব্লক থেকে শুরু করে শহরের নেতা কে হবেন, তা ঠিক করে দিতেন। কিন্তু এবার একদম শীর্ষ স্তর থেকে এই সমস্ত কিছু ঠিক করে দিচ্ছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা।

অর্থাৎ স্থানীয় স্তরে যাতে এই নাম নির্বাচন নিয়ে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি না হয় এবং তা নিয়ে দল বিপাকে না পড়ে, তার জন্যই তৃণমূল নেতৃত্বের এই পদক্ষেপ। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূলের অস্বস্তি আটকানো যাচ্ছে না কিছুতেই। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত কমিটিই তৈরি হয়নি। কিন্তু পদ উল্লেখ করে পুরাতন মালদায় নানা তৃণমূল নেতাদের নাম লেখা ফ্লেক্স ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়।

জানা গেছে, শহর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টাঙ্গানো সেই ফ্লেক্সে শহর কমিটির সভাপতি হিসেবে বিভূতিভুষণ ঘোষ এবং কার্যকরী সভাপতি হিসেবে নবরঞ্জন সিনহার নাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে যখন মালদহ জেলার কোনো কমিটি তৈরি করা হয়নি বলে খবর, তখন এভাবে জেলায় ফ্লেক্স পড়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন।

কিন্তু যে সমস্যা সমাধানের জন্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সরাসরি রাজ্য থেকে সোশ্যাল সাইটে বিভিন্ন জেলার কমিটি থেকে শুরু করে ব্লক কমিটি শহর কমিটি তৈরি করে দিচ্ছে, সেখানে মালদহ জেলার দলীয় নেতৃত্বের ঘোষণার আগেই যেভাবে ফ্লেক্স পড়ে গেল, তাতে তো তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়ল! এদিন এই প্রসঙ্গে পুরাতন মালদা শহর তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বৈশিষ্ট্য ত্রিবেদী বলেন, “আমার যতদূর ধারণা নতুন কমিটি গঠন না হলে নামের আগে দলীয় পদ ব্যবহার করা যায় না। এখন যাদের নামে দলীয় পদ ব্যবহার করে ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে, বিষয়টি তারাই ভালোভাবে বলতে পারবেন।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে মালদহ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, “বর্তমানে শহর বা গ্রামে দলের কোনো কমিটি নেই। কাউকে কোনো দায়িত্ব বন্টন করা হয়নি। এখন তাই দলীয় পদ ব্যবহার করে ফ্লেক্স টাঙ্গানো যায় না। ঘটনা কি হয়েছে, সেই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের ঘোষণার আগেই এভাবে কি ফ্লেক্স টাঙ্গানো যায়? এটা কি দলের নির্দেশ অমান্য করা নয়? এদিন এই প্রসঙ্গে বিভূতিভুষণ ঘোষকে ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এই ব্যাপারে নবরঞ্জন সিনহা বলেন, “যেহেতু নতুন কমিটি গঠন হয়নি, নতুন কেউ দায়িত্ব পায়নি, সেক্ষেত্রে নামের আগে দলীয় পদ লেখা থাকলে অসুবিধা কোথায়! এই নিয়ে আমি বিতর্কের কিছু দেখছি না। তবে কে ফ্লেক্স টাঙ্গালো, সেই নিয়ে খোঁজ নেব।” এদিকে বিরোধীদের তরফে তৃণমূলের এই ফ্লেক্স টাঙ্গানো নিয়ে পাল্টা মন্তব্য করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে আরএসপির জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পান্ডে বলেন, “নীতির বালাই না থাকায় এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় আশা করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে গঠনতন্ত্র এবং শৃংখলাবদ্ধ দল হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে রাজ্য থেকে সমস্ত ব্লক, শহর এবং জেলা কমিটি ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যেভাবে সেই কমিটি ঘোষণার আগেই মালদহ জেলার পুরাতন মালদহ শহরে নতুন সভাপতি এবং কার্যকরী সভাপতির নাম দিয়ে ফ্লেক্স পড়ে গেল, তাতে দলের গঠনতন্ত্র এবং শৃঙ্খলা যে ভাঙতে শুরু করেছে, সেই ব্যাপারে উষ্মা প্রকাশ করছেন তৃণমূলের অনেকেই। তবে এই ফ্লেক্স পড়াকে কেন্দ্র করে এখন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করে কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!