এখনো হলো না কমিিটর নাম ঘোষণা, আসল কারণ কি, জল্পনা তুঙ্গে ! তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য September 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজ্যের জেলায় জেলায় তৃণমূল দলের জেলা, টাউন ও ব্লক কমিটির রদবদল করা হয়েছে।পুরোনো কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলাতে জেলা, ব্লক, টাউন কমিটি গঠন নিয়ে কিছুতেই ধন্দ দূর হচ্ছে না। মুর্শিদাবাদ জেলার নতুন কমিটি গুলোতে কারা থাকবেন, কারা থাকবেন না, তা নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন, মতান্তর রয়েছে দলের অন্দরে। সম্প্রতি, মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুব্রত সাহা ও দলের দুজন কো-অর্ডিনেটর অরিত মজুমদার, সৌমিক হোসেন সম্প্রতি কলকাতা রয়েছেন। জেলা কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূল দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাদের সাংগঠনিক বৈঠকের কথা আছে। বৈঠকের বেশকিছু আগে থেকেই কলকাতায় আছেন সৌমিক হোসেন। তবে তিনি ও কো-অর্ডিনেটর অরিত মজুমদার জানিয়েছেন যে, পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার কারণে তাঁরা কলকাতায় এসেছেন। তবে তৃণমূল দলের একাংশের খবর এই দুই নেতা দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন নিয়মিত। তবে কমিটি গঠন নিয়ে কোনো স্থির সিদ্ধান্ত নেয় দলের পক্ষে এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করে কলকাতায় ফিরে আসবার পর মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটি গঠন বিষয়ে ঘোষণা হতে পারে বলে জানালেন বেশ কিছু তৃণমূল সদস্য। গতকাল সোমবার কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদে ফিরে এলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের। মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটি গঠনের এই বিলম্বের বিষয়ে জেলা সভাপতি আবু তাহের খান জানিয়েছেন, ” প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে। সেই মত কমিটিও গঠন হয়। আবার সব দলেই ভাল খারাপ সদস্য আছে। সেক্ষেত্রে বাছাই করতে গেলে স্ক্যানিং করতে হয়। সেই কাজটাই চলছে। সময়ও লাগছে সেই কারণেই। এক আধ সপ্তাহের মধ্যেই দল ঘোষণা হয়ে যাবে। ওদের চিন্তার কোনও কারণ নেই।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটি গঠন বিষয়ে এতটা বিলম্ব ঘটায় এ বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ ও কটাক্ষ করেছে বিভিন্ন বিরোধী মহল। এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপি সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, ” তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। ওরা কখনও সিপিএম কখনও কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিদের কিনে নিয়ে জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত পুরসভা দখল করেছে। তাই এক দিকে সংগঠন চালানোর মতো লোকের অভাব রয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে তাঁর আরও কটাক্ষ, ” আবার এও শুনেছি তৃণমূলে কোনও পদ পেতে গেলে টাকা দিয়ে নিতে হয়। তাই ভোটের আগে যে বেশি দর দেবে সে পদ পাবে। তাই দরকষাকষি চলছে। দেরিও হচ্ছে।” আবার এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের বক্তব্য, ” আসলে নেতারা প্রত্যেকেই ভাবছেন কাকে দায়িত্ব দিলে সেই নেতার ফায়দা বেশি তাই নিয়েই হিসেব নিকেশ চলছে বলে দল গঠন করতে দেরি হচ্ছে। তবে তৃণমূল দলের নিয়মনীতি সম্পর্কে কোন সুস্থ মানুষের যত কম কথা বলা যায় ততই ভাল। এদের সবটাই ওপেন সিক্রেট।” আপনার মতামত জানান -