এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একই মাঠে সভা মোদী- মমতার, নির্বাচনের আগে জমে উঠেছে তরজা!

একই মাঠে সভা মোদী- মমতার, নির্বাচনের আগে জমে উঠেছে তরজা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের আগে সভা-সমিতি নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যেকার তরজা এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যে প্রায়শই আসতে দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহের মত বিজেপির হাইপ্রোফাইল শীর্ষ নেতাদের। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মাঠ রাজনীতিকে কেন্দ্র করে রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। জানা গেছে, আগামী 22 ফেব্রুয়ারি ডানলপের মাঠে জনসভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এদিন সকালেই তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সেই একই মাঠে আগামী 24 তারিখ পাল্টা সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাভাবিক ভাবেই নরেন্দ্র মোদীর সভা করার দুই দিন পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মাঠে সভা করাকে কেন্দ্র করে এখন নানা মহলে গুঞ্জন ক্রমশ চরম আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, বিজেপি যেমন তৃণমূলকে এবার জায়গা ছাড়তে নারাজ, ঠিক তেমনই তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি নেতাদের কটাক্ষের জবাব একই জায়গা থেকে দিতে চাইছে। আর তাই নরেন্দ্র মোদীর মত হেভিওয়েট বিজেপি নেতা তথা প্রধানমন্ত্রীর সভা করে যাওয়ার পরে সেই মাঠকে বেছে নিয়ে সেই সভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পাল্টা জবাব দেবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে একই মাঠে বিজেপির পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই সভা করার ফলে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরম আকার ধারণ করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন সকালে বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এই মাঠ পরিদর্শন করতে আসছেন। সেই মতো করে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। আর সেই সময় হঠাৎ করেই মাঠ পরিদর্শনে কথা শোনা যায় তৃণমূল নেতৃত্বের গলায়।

যেখানে জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব সহ হেভিওয়েট বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা মাঠ পরিদর্শন করতে আসবে বলে জানতে পারা যায়। আর তারপরই শাসক-বিরোধী দুই দলের নেতা-নেত্রীরা একই সময়ে সেই মাঠে উপস্থিত হন। স্বাভাবিক ভাবেই তখন থেকেই এই গোটা বিষয় নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি বিজেপিকে কিছুটা হলেও ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস? তাই প্রধানমন্ত্রীর সভা করার পরেই পাল্টা তারা সেখানে সভা করবে বলে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শুরু করল? এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “এটা কোনো পাল্টা সভা নয়। দলনেত্রী সব জেলাতেই সভা করছেন। আমাদের পরিকল্পনাতেই ছিল, এই জেলায় এই মাসে বড় সভা করার। আর জেলায় বড় মাঠের সংখ্যা খুব কম। তাই ডানলপের মাঠকে মুখ্যমন্ত্রী সভার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। পূর্বপরিকল্পিতভাবেই সভা হচ্ছে।” যদিও বা তা মানতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শাসকদলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই আমরা যেখানে যাচ্ছি, সেখানেই আমাদের অনুসরণ করছে তৃণমূল। তবে যতই নকল করুন না কেন, আগামী বিধানসভা ভোটে মানুষ বুঝিয়ে দেবে যে, নকল করেও কোন ফল পাবে না ওরা। সর্বোপরি এই সভাস্থলে আগামী 22 তারিখে জনপ্লাবন হতে চলেছে। আর সেটাই প্রমাণ করে দেবে, মানুষ কার পক্ষে!” আর এখানেই প্রশ্ন, সত্যিই তাই!

যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার পাল্টা সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে রীতিমতো কার সভায় জনপ্লাবন বেশি হয়, তাই এখন দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে ভোটবাক্স খোলার পর পরিষ্কার হয়ে যাবে কারা নবান্ন দখল করবে! কিন্তু তার আগে যুযুধান প্রতিপক্ষের প্রধান দুই নেতা নেত্রীর সভা, পাল্টা সভার দিকে নজর রয়েছে রাজ্য রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!