এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একই অঞ্চলের দুজন সভাপতি! কোন নেতার ডাকে যাবেন কর্মীরা? ধন্দ তৃনমূলে! বাড়ছে অশান্তি!

একই অঞ্চলের দুজন সভাপতি! কোন নেতার ডাকে যাবেন কর্মীরা? ধন্দ তৃনমূলে! বাড়ছে অশান্তি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পদ বন্টন নিয়ে তৃণমূলের অশান্তি নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন জায়গায় পুরনো বনাম নতুন তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেকার অশান্তি এই পদ বিলিকে কেন্দ্র করেই। এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় গোষ্ঠী সংঘর্ষ হতে দেখা গেছে শাসকদলে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বিনপুর ওয়ান ব্লকের বিনপুর অঞ্চল সভাপতি কে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হল শাসকদলের অন্দরমহলে। জানা গেছে, একই অঞ্চলের দুজন তৃণমূল সভাপতি নিজেদের দলীয় প্যাডে সভার ডাক দিচ্ছেন। ফলে কে আসল সভাপতি, তা নিয়ে ব্যাপক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। কার ডাকে তারা সেই সভায় উপস্থিত হবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। আর এই সমস্যায় পড়ে এখন কার্যত নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিনপুর ওয়ান ব্লকের বিনপুর অঞ্চল সভাপতি পদে 2013 সালে দায়িত্ব পান যদুনাথ কিস্কু। কিন্তু গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এই যদুনাথবাবুর লোকজন বিনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে টিকিট না পাওয়ায় নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তারা পরাজিত হলে সেই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এরপর থেকে ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সেই যদুনাথ কিস্কুর। গতবছর লোকসভা ভোটের আগে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া শ্যামল মাহাতোর পক্ষ থেকেও যদুনাথবাবু ঠিকমত কাজ করছেন না বলে অভিযোগ তোলা হয়।

আর এর পরেই শ্যামলবাবু বিনপুর অঞ্চলের সাতজনের একটি কমিটি তৈরি করে দেয়। আর সেই কমিটির মাধ্যমে তৈরি হয় বুথ কমিটি। কিন্তু নতুন কমিটি গঠন হলেও সমস্যা মিটছে না কিছুতেই। জানা যায়, প্রায় তিন মাস আগে এই যদুনাথ কিস্কুকে সরিয়ে শ্যামল বিশুইকে অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে তাকে সরানো হলেও তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন যদুনাথবাবু। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে একদিকে যদুনাথবাবু এবং অন্যদিকে শ্যামলবাবু দুজনই নিজেদের দলীয় প্যাডে অঞ্চল সভাপতি বলে দাবি করে শনিবার সাংগঠনিক বৈঠক ডাকেন। আর সেখানেই কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে থেকে তোলা হয় প্রশ্ন। কাকে তারা অঞ্চল সভাপতি হিসেবে মানবেন! কার ডাকে তারা এই সভায় যাবেন, তা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয় কর্মীদের মধ্যে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে সমস্যা মিটবে কি করে? এদের এই প্রসঙ্গে যদুনাথ কিস্কু বলেন, “সংগঠনের স্বার্থে পরিবর্তন হোক। কিন্তু এটা তো পদ্ধতি নয়। জেলা নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া অন্য একজন কি করে অঞ্চল সভাপতি হলেন!” অন্যদিকে নতুন অঞ্চল সভাপতি শ্যামল বিশুই বলেন, “তিন মাস আগে আমাকে অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন ব্লক সভাপতি। সেইমত সাংগঠনিক কাজ করছি।” এদিকে এই অঞ্চলের দুজন নেতা যেভাবে নিজেদেরকে সভাপতি বলে দাবি করছেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে অশান্তি তৈরি হচ্ছে, তাতে ব্লক এবং জেলা নেতৃত্ব কি বলছেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে লালগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি শামোল মাহাতো বলেন, “গত লোকসভা ভোটে যদুনাথবাবু দলের হয়ে কাজ করেননি। সেই কারণে তাকে অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি একটি কমিটি করে শ্যামল বিশুইকে অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।” এদিকে এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মূর্মু বলেন, “আমি সদ্য জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছি। কাউকে অঞ্চল সভাপতি থেকে বাদ দিতে বলিনি। কাউকে দায়িত্ব দিইনি। ব্লক স্তর থেকে রদবদল হয়ে থাকলে জানা নেই। খোঁজ নেব।”

তবে জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে ব্লক নেতৃত্ব, যারা যে কথাই বলুন না কেন, পরিস্থিতি যেভাবে ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে এই অঞ্চল নিয়ে কর্মী-সমর্থকরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন, তাতে অবিলম্বে সমস্যার সমাধান করা উচিত বলে দাবি করছেন সকলে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, অঞ্চল সভাপতি হিসেবে কে শেষ হাসি হাসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!