এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > একই পরিবারের চারজনকে হত্যা, পুলিশি তদন্তে একের পর এক রহস্য উন্মোচন

একই পরিবারের চারজনকে হত্যা, পুলিশি তদন্তে একের পর এক রহস্য উন্মোচন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অপরাধের জগতে বিশেষ কিছু ঘটনা ঘটে যেগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে থেকে যায় মনে। এরই সাথে সামনে আসে অপরাধীর মনস্তত্ত্ব বিষয়ক জটিল ধাঁধা। মালদার কালিয়াচকের আটমাইল এলাকার ঘটনা ঘিরেও ঠিক এরকমই একটি রহস্য উঠে এসেছে। একই পরিবারের চারজনকে হত্যা করে পুঁতে রাখার ঘটনায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। এই ঘটনা যে ঘটিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে, সে হল পরিবারেরই ছোট ছেলে এবং একাদশ শ্রেণীতে পাঠরত। খুব স্বাভাবিকভাবেই একজন স্কুলছাত্রের তাঁর পরিবারের ওপর এরকম ভয়ংকর আক্রোশের কারণ কি? এক্ষেত্রে অভিযুক্তের গতিবিধি নিয়ে চিন্তায় পড়েছে পুলিশ।

সম্প্রতি মালদার কালিয়াচকের আটমাইল এলাকায় একই বাড়ির বাবা, মা, বোন, দিদার দেহ মাটিতে পুঁতে ফেলে সেই বাড়ির ছোট ছেলে। এমনকি খুনের কথা সে স্বীকারও করে নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে কেন সে বাড়ির সবাইকে খুন করেছে এটা নিয়ে কোনকিছুই এখনো জানা যায়নি। সূত্রের খবর, গৃহকর্তা অর্থাৎ ধৃতের বাবা একজন ব্যবসায়ী বলে জানা যায়। যথেষ্ট বিত্তশালী পরিবার ছিল নিহতদের। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্থানীয় একটি মিশন স্কুলে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। তবে এটাও জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের কেউ বা অভিযুক্ত বাইরের কারোর সাথে বিশেষ মিশত না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে অভিযুক্তের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর মোবাইল। একই সাথে জানা গিয়েছে প্লাইউড দিয়ে সে বেশ কয়েকটি কফিন তৈরি করেছিল।  এবং জানা যাচ্ছে, বাবা-মাকে জীবিত অবস্থায় ওই কফিনের মধ্যে ঢুকিয়ে অভিযুক্ত মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে দেয়। অভিযুক্তের দাদা জানিয়েছে সে এই ঘটনার সাক্ষী। কিন্তু তাঁর ভাই তাঁকে মারধর করেও খুনের হুমকি দেওয়ায় তিনি পালিয়ে যান কলকাতায়। কিন্তু জানা যাচ্ছে, তিনি ফিরে এসে দেখেন, তাঁর বাবা-মা, বোন, দিদা প্রত্যেকেই নিখোঁজ এবং তারপরে সে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই ঘটনাটি ঘটে। অন্যদিকে প্রতিবেশীদের পক্ষ থেকে কেন খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

তবে প্রতিবেশী সূত্রের খবর, অভিযুক্তের পরিবার তার আগেই জানিয়েছিল, তাঁরা বিশেষ কারণে মহারাষ্ট্রে যেতে পারেন। প্রতিবেশীরা সেরকমই কিছু আঁচ করেছিলেন। একইভাবে জানা গিয়েছে, নিহতদের বাড়িতে একটি গুদামঘর রয়েছে এবং গুদামঘরের আশেপাশে 26 টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে। ওই ঘরে কি রাখা হতো তা নিয়ে এখন চলছে তদন্ত। সব মিলিয়ে একই পরিবারের এতগুলি মৃত্যুর পেছনে কী কারণ? তা নিয়ে রয়ে গেছে ধোঁয়াশা। সব মিলিয়ে অভিযুক্তের মানসিক স্থিতাবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। তবে পুরোটাই যে রহস্যের মোড়কে রয়েছে, তা বুঝতে বাকি নেই তদন্তকারীদের। এখন এই রহস্য কিভাবে উন্মোচন হয়, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!