প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন কবি জয় গোস্বামী, সেসময় তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এরপর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। তবে, আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। তাঁর চিকিৎসার ভার বহন করেছিল রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্ট করা হয়েছে। যে পোস্টটিতে জানানো হয়েছে যে, কবি জয় গোস্বামী নজরুল একাডেমীর সভাপতি হিসেবে মাসে লক্ষ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও, তাঁর চিকিৎসার জন্য কেন সরকারি অর্থ সাহায্য নিচ্ছেন? এরপর এর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন কবি জয় গোস্বামীর কন্যা দেবশ্রী গোস্বামী।

জানা যাচ্ছে, দুজন ব্যক্তি এই ধরণের একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন। যেখানে লেখা হয়েছে, কবি জয় গোস্বামী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নজরুল একাডেমীর সভাপতি হিসেবে প্রত্যেক মাসে কয়েক লক্ষ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। তাহলে কেন রাজ্য সরকারের অর্থসাহায্য তিনি পাবেন? পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে কবি জয় গোস্বামীর অসুস্থতা সম্পর্কিত অর্থখরচ বহন করেছে, তা প্রকৃতপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় গোস্বামীর মত মানুষের আনুগত্যকে কিনে নেওয়ার একটি উদাহরণ।

এই পোষ্টের বিরুদ্ধে গতকাল বিধাননগর উত্তর থানার সাইবারক্রাইম শাখায় অভিযোগ করেছেন কবি জয় গোস্বামীর কন্যা দেবশ্রী গোস্বামী। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, এই ফেসবুক পোস্টে ফুল তথ্য প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী ও কবি জয় গোস্বামী উভয়কেই অপমান করা হয়েছে। তাঁর কথায়, এই ধরনের কুরুচিকর পোস্ট কবি ও মুখ্যমন্ত্রীর দুজনের ক্ষেত্রেই আপত্তিকর অপমানজনক।

এ প্রসঙ্গে কবি জয় গোস্বামী জানিয়েছেন যে, নজরুল একাডেমীর সভাপতির পদ অবৈতনিক, যা থেকে তিনি অর্থ উপার্জন করেন না। রাজ্য সরকার তাঁর চিকিৎসার ভার নিয়ে, তাঁর অনুগত্য কিনতে চাইছেন, এটা তাঁর ও মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে অপমানজনক। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ও সমর্থন। তখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন না, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ছিলেন।

এছাড়া এই প্রথম তাঁর চিকিৎসার ব্যয়ভার নেওয়া হয়েছে তা নয়, ২০১২ সালেও তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করেছিল সরকার। কবি জয় গোস্বামী আরও জানিয়েছেন যে, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের কাছে অনেক ফোন আসছে। সাধারণ মানুষ এই পোস্টকে সত্যি বলে মনে করছেন। তিনি এর সুরাহা চান। তিনি জানালেন, এর দ্বারা তাঁর সম্মানহানি করা হয়েছে। ভুল তথ্য, মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে।