একুশে বাইশ! তৃণমূলে ফিরেই বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নতুন স্লোগান বেঁধে দিলেন হেভিওয়েট নেতা! তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য August 7, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল শিবিরে আবারও এক হেভিওয়েট নেতার প্রত্যাবর্তন। একুশের নির্বাচন যত সামনে আসছে, ততই বাংলার রাজনৈতিক মহলে একের পর এক চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে চলেছে। অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে দেখা যাচ্ছে দলবদলের হিড়িক। একদিকে যেমন বিরোধী দল থেকে শাসক দলে পদার্পণ করছেন অনেকেই, ঠিক সেভাবেই আবার বিরোধী দলেও সংগঠন বাড়ছে ক্রমে। তবে একথা পরিষ্কার, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এবার তৎপর হয়ে উঠেছে বাংলার প্রতিটি রাজনৈতিক দল। প্রত্যেকেই নিজেদের দল গোছাতে ব্যস্ত। এই অবস্থায় এবার তৃণমূল শিবিরে আবার পা দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর পর তিনি আবার তৃণমূলে ফিরে এলেন। যদিও এই নিয়ে কংগ্রেস শিবির থেকে রীতিমতো টীকা টিপ্পনী ভেসে আসছে তাঁর প্রতি। তবে প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলে পা দিয়েই জানিয়ে দিয়েছেন, দলের নির্দেশ মেনেই তিনি এবার কাজ করবেন। অন্যদিকে দলবদল করেই এদিন বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ের জনসভা থেকে হুমায়ুন কবীর ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন, একুশের নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলার বাইশটি আসনের মধ্যে বাইশটিরই অধিকারী হবে তৃণমূল শিবির। হুমায়ুন কবীর একসময় ছিলেন অধীর চৌধুরীর ডান হাত। 2011 সালে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের থেকে রেজিনগর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন তিনি। কিন্তু তারপরেই অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তিনি প্রথমবার দলবদল করে কংগ্রেস থেকে পাড়ি দেন তৃণমূলে। তৃণমূল এসেই তিনি মন্ত্রিত্ব পেয়ে যান। কিন্তু তারপর তৃণমূলের জেলা পরিদর্শক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য ঘটে। এবং তিনি বহিষ্কৃত হন তৃণমূল থেকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে রেজিনগরেই দাঁড়ান আবার এবং নামমাত্র ভোটে হার স্বীকার করেন কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে। তারপর আবার তিনি কংগ্রেসে ফেরেন। কিন্তু 2018 সালে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এর পরামর্শে তিনি দলবদল করে পৌঁছান বিজেপিতে। কিন্তু বর্তমানে এনআরসি সংক্রান্ত মতবিরোধ ঘটে তাঁর সঙ্গে বিজেপির এবং তিনি অবশেষে বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে ফেরত এলেন। জানা গিয়েছে, এদিন তিনি তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করেন। রীতিমতো মঞ্চ গড়ে এই দলবদলের অনুষ্ঠানটি হয়। যদিও এই অনুষ্ঠান ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন। জানা যাচ্ছে, এই অনুষ্ঠানে কোনোরকম করোনা সর্তকতাবিধি মানা হয়নি। উপস্থিত সবার মুখে মাস্কও ছিল না বলে জানা যাচ্ছে। আর তাই নিয়ে এবার কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দল শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তার সাথেই এলাকার পুলিশ প্রশাসনের দিকেও অভিযোগ করছে বিরোধীরা। তবে এ প্রসঙ্গে আবু তাহের মানুষের আবেগের কথা বলেই ব্যাপারটিকে লঘু করতে চাইছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল যেভাবে ধীরে ধীরে সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে, তা কিন্তু একুশের বিধানসভার নির্বাচনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির থেকে যেভাবে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা তৃণমূলে যোগদান করছেন, তা কিন্তু বাংলার বিজেপি শিবিরকে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আপাতত এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে গেরুয়া শিবির কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে আগামী দিনে, সেদিকেই নজর থাকবে সবার। আপনার মতামত জানান -