একুশে জিততে মরিয়া মমতা ভুলছেন সব রাগ-অভিমান! ঋতব্রত-ছত্রধরের পর এবার বড় পদ বহিস্কৃত নেতাকে কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2019 এর লোকসভা নির্বাচনে কোনরকমে হার বাঁচায় তৃণমূল শিবির। আর তাই এবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন জিততে মরিয়া তৃণমূল শিবির। ইতিমধ্যে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তৃণমূল নেত্রী বড়সড় রদবদল করেছেন দলে। রাজ্যের সাংগঠনিক স্তরের পরিবর্তনের সাথে সাথে জেলায়-জেলায় সাংগঠনিক স্তরেরও পরিবর্তন হয়েছে। তবে এবার তৃণমূলের ফ্রন্টলাইনে দায়িত্বে এসেছেন এক ঝাঁক নতুন মুখ। আর তার সাথেই রাজ্য সংগঠনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠে এসেছেন একদা জঙ্গলমহলের একচ্ছত্র অধিপতি ছত্রধর মাহাতো। ছত্রধর মাহাতোর সাথেই রাজ্য কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বহিস্কৃত সিপিএম নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংগঠনিক বদল এর পর এবার শাসক দল জাতীয় রাজ্যস্তরে মুখপাত্র মন্ডলীতেও বদল আনল। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের মুখপাত্র মন্ডলীতে থাকবে 12 জন এবং রাজ্যে থাকবে 22 জন বলে জানা গেছে। আর সেই সূত্রেই রাজ্য স্তরের মুখপাত্র মন্ডলীতে উল্লেখযোগ্যভাবে স্থান পেলেন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব কুণাল ঘোষ। তাঁর সাথেই বসিরহাটের সাংসদ অভিনেত্রী নুসরাত জাহান রুহিও দলের মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত হলেন। অন্যদিকে কুণাল ঘোষের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ বহুদিনের। 2013 সালে জুলাই মাসে 6 বছরের জন্য সাসপেন্ড হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ দল থেকে। কিন্তু সাসপেনশন উঠে যাওয়ার সাথে সাথেই তিনি আবার দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন এক বছর আগে থেকেই। গতবছরের একুশে জুলাই শহীদ দিবস পালনের মঞ্চেও দেখা গিয়েছিল কুণাল ঘোষকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এছাড়াও যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতেও ইদানীং কুণাল ঘোষের উপস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছিল। গুঞ্জন একটা ছিলই কুনাল ঘোষ এবার হয়তো দলীয় পদে আসতে পারেন এবং সেটাই সত্যি হলো। অন্যদিকে সম্প্রতি তরুণ নেতা দেবাংশ ভট্টাচার্যকে যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। আর এবার তাঁকেও রাজ্যস্তরের মুখপাত্র করে নিয়ে আসা হল। নুসরত জাহান বরাবরই শিরোনামে থেকেছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যকলাপের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দলীয় কার্যকলাপ, উন্নয়নের খতিয়ান থেকে শুরু করে বিরোধীদের পাল্টা জবাব দেওয়া সবকিছুই তিনি করেছেন। আর তাই রাজনৈতিক মহলের দাবি, নুসরত জাহান রুহিকে পুরস্কার হিসেবে রাজ্য স্তরের মুখপাত্র মন্ডলীতে স্থান দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল নেত্রী যেভাবে নতুন নেতাদের তুলে নিয়ে আসছে ঠিক সেভাবেই বহু বড় নেতার ক্ষমতাও খর্ব করা হয়েছে এবারের সাংগঠনিক পরিবর্তনে। তবে মনে করা হচ্ছে, তৃণমূল নেত্রী বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্ভর করছেন তাঁর তরুণ তুর্কীদের উপর। রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পরিবর্তনের মাধ্যমে তৃণমূল নেত্রী বুঝিয়ে দিলেন বিধানসভা নির্বাচনে জিততে তিনি কতটা মরিয়া। তবে সাংগঠনিক পরিবর্তন ঘিরে তৃণমূল শিবিরের অন্দরেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। তৃণমূলের দিকপাল নেতারা সরতেই দলের একাংশে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। আপাতত তৃণমূলের এখন লক্ষ্য একটাই, বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবিরকে কিস্তিমাত করা। আপনার মতামত জানান -