এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশে জুলাই ঘিরেও প্রকাশ্যে রাজনৈতিক সংঘাত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে, চাপানউতোর তুঙ্গে

একুশে জুলাই ঘিরেও প্রকাশ্যে রাজনৈতিক সংঘাত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে, চাপানউতোর তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল একুশে জুলাই শহীদ দিবস পালন করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয় শিবিরই। আর তাই নিয়ে আবারও সংঘাত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। কার্যত দীর্ঘ সময় ধরে এই একুশে জুলাই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে। বহু রাজনৈতিক চাপানউতোরের সাক্ষী এই একুশে জুলাই। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এবার প্রথম একুশে জুলাই পালন করা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে ভোট পরবর্তী হিংসায় যেসব গেরুয়া কর্মী নিহত হয়েছেন, তাঁদেরকে শহীদ আখ্যা দিয়ে এই দিনটি পালন করা হয়েছে। একইসাথে শহীদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করতে গিয়ে তৃণমূল সরকারকে কার্যত রাজ্য থেকে উৎখাতের ডাক দিলেন এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

দীর্ঘদিন ধরেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব রাজ্যের গেরুয়া শিবির। আর সেক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটছে, অথচ পুলিশ প্রশাসন সবকিছু জানা সত্বেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা। ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা তুলে ধরতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক আক্রমণ করেছেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। তাঁর কথা অনুযায়ী, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পরবর্তী সময়ের সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে 1946 সালের কলকাতায় ঘটে যাওয়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের। কার্যত এই রাজনৈতিক হিংসাকে গণহত্যার নাম দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের সাংসদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন হয়েছে রাজ্যে এবং কেন্দ্রে। রাজ্যে যেমন নেতৃত্ব দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রে ঠিক সেভাবেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে রাজঘাটে ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপি সাংসদরা। কার্যত গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য ছিল সর্বভারতীয় স্তরে পৌঁছানো বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার বলে আসছেন তাঁর সময়কালে কোনো ঘটনা ঘটেনি। যা ঘটেছে তা নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতা থাকাকালীন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল চাপে পড়েছে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে।

কার্যত তৃণমূল সুপ্রীমোর অভিযোগ মানবাধিকার কমিশন গেরুয়া শিবিরের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করেছে। কিন্তু একথা মানতে নারাজ বিজেপি নেতারা। শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, মানবাধিকার কমিশন আদালতের নির্দেশে রিপোর্ট তৈরি করেছে। এখানে গেরুয়া শিবির শিবিরের কোন হাত নেই। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নেওয়ার পর থেকে 30 জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে একুশে জুলাই এর শহীদ দিবসকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে টানটান রাজনৈতিক সংঘাত বজায় রইল। কার্যত এই বিতর্কের আঁচ কতদূর ছড়ায় সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!