এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একুশে তৃণমূলের জেতার রহস্য ফাঁস করে দিলেন স্বয়ং বিজেপি মন্ত্রী!

একুশে তৃণমূলের জেতার রহস্য ফাঁস করে দিলেন স্বয়ং বিজেপি মন্ত্রী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যজুড়ে বাংলার মসনদ দখলে নিতে প্রধান দাবীদার হিসেবে নিজেদের মনোনীত করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে ক্রমাগত চলছে একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। এবং বাংলা জয়ের স্বপ্ন সফল করতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে তাঁরা। পাশাপাশি তৃণমূলও পিছিয়ে থাকার নয়। দীর্ঘ 10 বছরের রাজত্ব পুনর্দখল করতে মরিয়া তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে একুশে নির্বাচনী যুদ্ধের আবহে কে জিতবে তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। তবে যদি তৃণমূল জেতে তার পেছনের সম্ভাব্য কারণ প্রসঙ্গে পর্দা ফাঁস করেছেন গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট মন্ত্রী।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বিজেপির সর্বস্তরের নেতারাই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছেন কার্যত রাজ্য থেকে কেন্দ্রের গেরুয়া শিবিরের নেতারা তৃণমূলকে বিদ্ধ করতে সদা প্রস্তুত। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল শিবিরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কিন্তু এমন কোনো মুখ নেই, যারা বিজেপির কড়া আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে পাল্টা জবাব দিতে পারেন। সম্প্রতি বিজেপির আসানসোলের সংসদ তথা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় টুইট করে জানিয়ে দিলেন, যদি তৃণমূল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে, তাহলে তার পেছনের কারণ কি থাকবে।

সদ্যই অমিত শাহ বাংলায় এসে দাবি করেছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির 200 টি আসনে জিততে চলেছে। আর এবার গেরুয়া শিবিরের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় টুইট করে জানালেন- 200 আসন নয়, দুশোর বেশী আসনেই বাংলা জিততে চলেছে বিজেপি। তবে তৃণমূলের জেতার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেননি বাবুল। আর সে প্রসঙ্গেই বাবুল আশঙ্কা করেছেন, প্রশাসনকে ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহার করতে চলেছে তৃণমূল এবারের ভোটে। পাশাপাশি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল যদি জয়লাভ করে তাহলে বিজেপি যে পুরোপুরি রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলবে এবার তাও স্পষ্ট হয়ে গেল বাবুলের টুইট থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বাবুল যে এই টুইটের মাধ্যমে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে আগাম বার্তা দিয়ে রাখলেন সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রাজনৈতিক মহল। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূল সরকার রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। এমনকি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি তৃণমূলের তরফ থেকেও কিন্তু প্রচুর অভিযোগ উঠে আসছে বিজেপির বিরুদ্ধে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, বাংলায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে গুন্ডামি করে ভোট করতে চাইছে বিজেপি। এমনকি অমিত শাহের রাজ্য সফরের পর থেকেই রাজ্যের আমলা ও জেলা শাসকদের এবং পুলিশ সুপারদের ভয় দেখানো চলছে বলে দাবী তৃণমূলের।

মূলত আয়কর হানা ও ইডিকে হাতিয়ার করে এই ভয় দেখানো চলহে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারদের দূরবর্তী অঞ্চলে বদলি করে দেওয়ারও ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভার নির্বাচন আক্ষরিক অর্থে কিন্তু বর্তমানে দুই দলের কাছেই প্রেস্টিজের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলা দখলের লড়াইতে এই মুহূর্তে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। সে ক্ষেত্রে এই দুই দলের মধ্যে কেউ একজন বাংলা দখল করবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।

তবে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সমস্ত রকম সম্ভাবনার কথাই জানিয়ে রাখলেন এদিন বলে মনে করছেন বিষেষজ্ঞরা। বিজেপির হার এবং তৃণমূলের জয়ের পেছনে যে একমাত্র প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার- সে ব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত বাবুলের। পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিহার বিধানসভা নির্বাচন বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরকে অতিরিক্ত অক্সিজেন প্রদান করেছে। যার ফলস্বরূপ এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় গেরুয়া শিবির। তবে একথা স্পষ্ট একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ কিন্তু দেখতে চলেছে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!