এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > একুশের আগে মুকুল শিবিরকে চাঙ্গা করতে জোড়া পুরস্কারের ভাবনায় বিজেপি? ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা

একুশের আগে মুকুল শিবিরকে চাঙ্গা করতে জোড়া পুরস্কারের ভাবনায় বিজেপি? ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলা রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মুকুল রায়কে বলা যেতেই পারে। একসময় তৃণমূল দলের যোগ্য সেনাপতি রূপে তিনি বাংলার বিভিন্ন স্থানে তৃণমূল সাম্রাজ্যের গোড়া পত্তন করেছিলেন যথেষ্ট যোগ্যতা সঙ্গে। তারপর সময় অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে, গঙ্গা নদীর উপর দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। নিজের হাতে ছোট থেকে বড় করা দলটিই একসময় তার চক্ষুশূল হয়েছে। একাধিক মতভেদ এর কারণে তিনি দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন, পরিবর্তে নিজেকে যুক্ত করেছেন তৃণমূলের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির সঙ্গে।

সম্প্রতি, রাজ্য বিজেপির এক জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, শুধু নেতাই নন বলা যেতে পারে একজন গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভও তিনি। কারণ মূলত তার প্রচেষ্টাতেই গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির অভূতপূর্ব উত্থান হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। এরপর বিজেপি দলের গুরুত্ব যে যথেষ্টভাবে বেড়েছে, সেকথা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই।

কিন্তু সে অর্থে বিজেপিতে কিন্তু তেমন কোন পদ লাভ করতে পারেন নি, একসময়ের তৃণমূল দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায়। আর এই নিয়ে তার অনুগামীদের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভও আছে। মাঝে মাঝেই তার অনুগামীদের মধ্যে থেকে অভিযোগ উঠেছে, বিজেপির জন্য তিনি যতটা করেছেন, বিজেপিতে তিনি তিনি ততটা মূল্য পান নি।

তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে মুকুল রায় যথেষ্ঠ সমাদৃত। ২০১৭ সালে তৃণমূল দলের সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার পর, এখনও দিল্লিতে তার সহকারী বাংলোটি কিন্তু অক্ষতই আছে। তবুও এত অল্পে যেন সন্তুষ্ট হওয়া মুশকিল। তাই এবার আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুকুল রায় কে ও সেই সঙ্গে তার অনুগামীদের সন্তুষ্ট ও সতেজ রাখতে মুকুল রায়কে একসঙ্গে দুটো পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা শোনা গেল বিজেপির অন্দর থেকে। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, একদিকে যেমন রাজ্যসভার সাংসদ হবার তাঁর সম্ভাবনা আছে, তেমনি সম্ভাবনা আছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিত্ব লাভেরও।

প্রসঙ্গত আগামী ১১ ই সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় একটি আসনে উপনির্বাচন এর দিন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন । যদিও এই আসনটির মেয়াদ আগামী ২০২২ এর জুলাই পর্যন্ত ছিল। কিন্তু চলতি মাসের পয়লা তারিখে এই আসনটি শূন্য হয়ে পড়েছে, বিজেপি রাজ্যসভার জনৈক সাংসদ অমর সিং এর অকস্মাৎ মৃত্যুতে। এরপরেই এই আসনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, যা হতে চলেছে আগামী ১১ ই সেপ্টেম্বর। এই আসনটিতে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মুকুল রায়ের নাম যাওয়ার অনেকটা সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।

অন্যদিকে উত্তর প্রদেশ বিধানসভাতে বর্তমানে বিজেপির অবস্থা যথেষ্ট ভালো । তাই আসন্ন এই নির্বাচনে বিজেপির জয়ের একটা বিরাট সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত গত সোমবার উত্তরপ্রদেশে রাজ্যসভার একটি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, আর সেই উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী জয়প্রকাশ নিষাদ জয়লাভ করেছেন। এক কথায় বলতে গেলে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সম্পত্তি অনেকটা অনুকূলে আছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে দেশের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির কারণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ বেশ কিছুদিন ধরে স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে আগামী ১১ ই সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার এই নির্বাচন পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের অনেকটা সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। আর মন্ত্রিপরিষদ এর এই প্রসারণের কারণে একাধিক একাধিক বিজেপি নেতৃত্বের মন্ত্রিত্ব লাভের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

আর তাতুন করে মন্ত্রীত্বলাভের তালিকাতে উঠে আসা বিজেপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার বিজেপি নেতা মুকুল রায়, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস ত্যাগী বিজেপি নেতা আশা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সহ আরও অনেকে।

প্রসঙ্গত বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার দুজন পতিমন্ত্রী আছেন, কিন্তু কোন পূর্ণমন্ত্রী বঙ্গ বিজেপি থেকে এখনো পর্যন্ত কাউকে মনোনীত করা হয়নি। এক্ষেত্রে পূর্ণমন্ত্রীর পদ লাভের একটা বিরাট সম্ভাবনা মুকুল রায়ের আছে বলে বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন উঠেছে। তবে ইটা ঠিক যে মন্ত্রী হবার পূর্বে মুকুল রায়কে অবশ্যই তার পূর্বে রাজ্যসভার একজন সদস্য হতে হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!