এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একুশের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে তৃণমূল ও বিজেপি, জয়ের আশা কি কিঞ্চিত বেশী তৃণমূলের? কি বলছে সমীক্ষা?

একুশের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে তৃণমূল ও বিজেপি, জয়ের আশা কি কিঞ্চিত বেশী তৃণমূলের? কি বলছে সমীক্ষা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের রাজনৈতিক লড়াই জমে উঠেছে। রাজ্যের চারটি মুখ্য রাজনৈতিক দল- তৃণমূল, বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেস জোট একসাথে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে। লক্ষ্য প্রত্যেকেরই এক- রাজ্যের বিধানসভার মসনদ দখল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে মসনদ দখলে লড়াইতে তৃণমূল এবং গেরুয়া শিবির মুখ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়াই করছে। সে জায়গায় বাম-কংগ্রেস জোট করলেও এখনো বেশ কয়েক যোজন দূরেই রয়েছে। এবারের লড়াইতে একদিকে যেমন বিজেপির লক্ষ্য বাংলা দখল, তেমনি অন্যদিকে তৃণমূল তাঁদের অধিকার ছেড়ে দিতে রাজি নয়। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, আগামী দিনে বাংলার বিধানসভায় কে আসতে চলেছে সরকার গঠনে?

আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল নেত্রীর দিকে কিন্তু ভোট পড়েছে বেশি। প্রসঙ্গত, তৃণমূল এবং বিজেপি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে মানুষের মন জয় করতে ইতমধ্যে বাজেটকে আশ্রয় করা হয়েছে। কেন্দ্র এবং রাজ্যের বাজেটে দুই রাজনৈতিক শক্তির চেষ্টা চোখে পড়েছে। একদিকে যেমন পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র, অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসও রাজ্য বাজেটে একাধিক জনমুখী কর্মসূচি এবং প্রকল্প গ্রহণ করেছে। রাজ্যে তৃণমূল এবং কেন্দ্রে ক্ষমতায় বিজেপি থাকার দরুণ মানুষের মন পেতে তাঁরা ব্যাপকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। আর সে জায়গায় বাম কংগ্রেস জোট মানুষের ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহ থাকছে।

পাশাপাশি গেরুয়া শিবির কিন্তু লোকসভা নির্বাচন থেকেই রাজনৈতিক মঞ্চের একদম সামনের সারিতে উঠে এসেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে 40% ভোট নিয়ে বিজেপি কিন্তু চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে রাজ্যের শাসক দলকে। যেখানে বাম এবং কংগ্রেস অনেকটাই প্রায় হারিয়ে যাওয়ার মুখে। কিন্তু এত কিছু করেও তৃণমূলের কিছু মাইনাস পয়েন্ট রয়েছে, যেখানে তাঁরা পিছিয়ে যাচ্ছে। এর একটি হচ্ছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে গত 10 বছরের শাসন ব্যবস্থায় বড় বড় দুর্নীতির বোঝা চেপে রয়েছে। যেখানে সারদা, নারদার পাশাপাশি আম্ফান এবং রেশনিং দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে বিরোধীরা। দ্বিতীয়তঃ তৃণমূল ছেড়ে কিন্তু বিজেপিতে প্রথম সারির নেতারা চলে গিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলস্বরূপ মনে করা হচ্ছে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট চাপের মুখে দাঁড়িয়ে আছেন বর্তমানে। এদিকে গেরুয়া শিবির কিন্তু ক্রমশ শক্তিশালী করে তুলছে নিজেদেরকে। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাও কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ এখনো পর্যন্ত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের দিকে পাল্লা ভারী রেখেছেন। আর এর কারণ হিসেবে লোকসভা নির্বাচনের পর তিনটি জেলায় হয়ে যাওয়া উপনির্বাচনের ফলাফলকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে মাত্র 3% এর ব্যবধান ছিল, যা মুছে ফেলা গেরুয়া শিবিরের পক্ষে খুব একটা সহজসাধ্য হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

একই সাথে 2019 এর লোকসভা নির্বাচন কিন্তু নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে লড়াই হয়েছে। কিন্তু এবার রাজ্যের ভোটে কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ রয়েছে। সুতরাং পরিষ্কার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই তৃণমূল লড়বে। সে জায়গায় গেরুয়া শিবিরের হাতে কিন্তু সেইভাবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নেই। একই সাথে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের হয়ে অনুঘটকের কাজ করেছিল বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক এর মতো ঘটনা। তৃণমূলের জেতার ইঙ্গিত হিসেবে সামনে আসছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মতন বড়োসড়ো ট্রাম্প কার্ড। যার ভিত্তিতে শুভেন্দু অধিকারী কিংবা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর মতন জনপ্রিয় নেতারা তৃণমূল থেকে চলে গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প মুখের অভাব কিন্তু রয়েছে গেরুয়া শিবিরে, যা কোনমতেই অস্বীকার করা যাবেনা।

সে জায়গায় কিছুটা পিছিয়ে যে গেরুয়া শিবির থাকবে, তা পরিষ্কার। ঠিক যেভাবে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির বিপক্ষে প্রবল হাওয়া উঠলেও কংগ্রেসসহ বিরোধীরা পিছিয়ে যায়। কিন্তু তাও একটা কথা বলতেই হয়, রাজনীতিতে কখন কি হয়ে যায় তা বোঝা যায়না। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের হার যদি হবার হয়, তা কোন সমীকরণই আটকাতে পারবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। আপাতত বঙ্গ রাজনীতিতে চলছে জোরদার নির্বাচনী লড়াই। কে থাকবে, আর কে যাবে তা দেখার জন্য শুধুমাত্র সময় এর উপর নির্ভর করে ধৈর্য ধরতে হবে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!