এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একুশের লক্ষ্যে লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের হয়ে বড়সড় ঘুঁটি সাজিয়ে ফেললেন হেভিওয়েট মন্ত্রী

একুশের লক্ষ্যে লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের হয়ে বড়সড় ঘুঁটি সাজিয়ে ফেললেন হেভিওয়েট মন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশজুড়ে যখন কৌতুহলী নজর টিকে ছিল উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা মন্দির এর ভূমি পূজা ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উপর, তখন পশ্চিম বাংলার শাসক দল নিজেদের সংগঠন গোছানোর কাজে মনোনিবেশ করল। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বিশেষ দেরি নেই। তার আগেই এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল জোর দিচ্ছে তাঁদের দল গোছানোর কাজে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের রাজ্য এবং জেলা স্তর সংগঠনে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আর এবার শুরু হয়েছে জেলায় জেলায় ব্লক সভাপতি কে হবেন তাই নিয়ে জোর আলোচনা।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব ব্লক ও জেলা কমিটি ভেঙে দিয়েছেন। এবার এই নিয়ে তৎপরতা দেখা গেল পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল শিবিরে। আর এই নিয়ে বুধবার লকডাউনের দিনেই তৃণমূল পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্ব বৈঠক করলেন। এই বৈঠকে তৃণমূলের দলীয় সংগঠনকে আরো মজবুত করার পাশাপাশি ব্লক সভাপতি নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, দলের জেলা চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে প্রতিটি ব্লকের সভাপতির নাম প্রস্তাব করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু পুরনো ব্লক সভাপতিকেই রেখে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ব্লকে। তবে বেশ কয়েকটি জায়গাতে আবার নতুন নামের সুপারিশ করা হয়েছে। যেমন- কাঁকসা, জামুরিয়া 2 ব্লকে নতুন সভাপতির নাম প্রস্তাবিত হয়েছে। আবার অনেক ব্লকের সভাপতি অসুস্থ হয়ে রয়েছেন। তাঁদের পরিবর্তে এবার নতুন ব্লক সভাপতি আসতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। জেলা নেতৃত্তের প্রস্তাবিত ব্লক সভাপতিদের তালিকা নিয়ে এদিনই মন্ত্রী মলয় ঘটক কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিনের বৈঠকে মন্ত্রী মলয় ঘটক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি, দুই কো-অর্ডিনেটর বিশ্বনাথ পারিয়াল ও হরে রাম সিং। এছাড়াও শাসকদলের তিন বিধায়ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন জিততে তৃণমূল শিবির মরিয়া। আর সামনের বিধানসভা নির্বাচন যে জেতা খুব একটা সহজ হবেনা তৃণমূল শিবিরের কাছে সে কথা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের সবাই। অন্যদিকে সে কথা মাথায় রেখেই এবার তৃণমূল শিবির রীতিমতো যুদ্ধের আঙ্গিকে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাঁদের সাংগঠনিক পরিবর্তন রীতিমত চোখে পড়ার মতো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপাতত বাংলার চোখ এখন একুশের রাজনৈতিক যুদ্ধের দিকে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!