এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একুশের লক্ষ্যে তৃণমূলকে বড় ধাক্কা বিজেপির! শুভেন্দু গড়েও এবার বড়সড় ভাঙন ধরালো গেরুয়া শিবির

একুশের লক্ষ্যে তৃণমূলকে বড় ধাক্কা বিজেপির! শুভেন্দু গড়েও এবার বড়সড় ভাঙন ধরালো গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে চরম রাজনৈতিক টানাপোড়েন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই রাজ্যে নিজেদের সাংগঠনিক ভিত মজবুত করে রাজ্য বিজেপি শিবির। তার ফলও হাতেনাতে পায় গেরুয়া শিবির 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে। এবার সামনে আসছে রাজ্যের মসনদ দখলের লড়াই। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শাসক দলকে চাপে ফেলতেই বিভিন্ন সময় রাজ্যের বিরোধী শিবির বিজেপি ঘাসফুল শিবিরে আঘাত হানছে।

এবং এই আঘাত পরিপূর্ণ হচ্ছে যখন তৃণমূল শিবির ছেড়ে নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘাসফুলের দুর্গে আঘাত করার এই প্ল্যানটি খুব সম্ভবত কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা অমিত শাহের। আর তাই বলা যায়, এবার অমিত শাহের ম্যাজিক পুরোপুরি সফল হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। সম্প্রতি পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে ভাঙ্গন ধরাতে সক্ষম হল বিজেপি। যা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, সোমবার শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক এর রঘুনাথপুর 2 অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান কমল কৃষ্ণ মান্না এবং তার অনুগামী প্রায় 50 জন দলীয় কর্মী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, তমলুক জেলার বিজেপি সভাপতি নবারুণ নায়েক তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্যদিকে দল বদলের সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল শিবির এর সম্পর্কে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন প্রধান কমল কৃষ্ণ মান্না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর দাবি, তৃণমূল সুপ্রিমোর নীতি আদর্শ মেনে দলের উচ্চস্তরের কাজ করা হয় কিন্তু দলে নিম্নস্তরে কোন আদর্শ বা নিয়ম নীতি কাজ করেনা। বর্তমানে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত গরিব মানুষদের পাশে না দাঁড়িয়ে শাসক দলের নেতাকর্মীরা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে কমল কৃষ্ণ মান্না তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং তাঁকে দল ছাড়তে বাধ্য করা হয়। আর তাই তিনি বাধ্য হয়ে মানুষের জন্য কাজ করার রাস্তা হিসেবে বিজেপিতে যোগ দেওয়াকেই মনোনীত করেছেন।

যদিও এই বিষয়ে রঘুনাথপুর 2 অঞ্চলের প্রধান শিলাদিত্য আদক জানিয়েছেন, কমলবাবু যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ, কমলবাবু কোনদিনই বিশেষ কোনো কাজেই দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবে তিনি যদি বিজেপিতে যোগ দেন তাহলে সেটি সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে মনে করা হচ্ছে। অন‍্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। সেই ঘাঁটিতে বিজেপি শিবির যেভাবে ভাঙ্গন ধরাল, তা কিন্তু আগামী দিনে রাজ্যের শাসক দলের কাছে যথেষ্ট চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে যেভাবে শাসকদলের ঘরে ভাঙ্গন লেগেছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর সমালোচনা। আপাতত এই পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্যের শাসক দল তাঁদের সংগঠনকে তৈরি করতে নতুন কোনো পরিকল্পনা রূপায়ণ করেন কিনা অথবা বিজেপি শিবিরকে মাত করতে অন্য কোন চাল দেয় কিনা, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দল। মোদ্দাকথা, সামনের দিনের লড়াই যে বেশ সেয়ানে সেয়ানে হতে চলেছে তা একপ্রকার স্বীকার করে নিচ্ছে সব মহলই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!