এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একুশের লড়াইয়ে বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা মমতার? ছিনিয়ে নিলেন এই বিদ্রোহী নেতাকে? রাজনীতিতে ঝড়

একুশের লড়াইয়ে বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা মমতার? ছিনিয়ে নিলেন এই বিদ্রোহী নেতাকে? রাজনীতিতে ঝড়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরে পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। বিজেপির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। কিন্তু এবার শারদোৎসবের আগে সেই বিমল গুরুংকে নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল গোটা রাজ্যজুড়ে। জানা গেছে, এদিন কলকাতা একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বহিস্কৃত নেতা বিমল গুরুং। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা শোনা যায় তার গলায়। স্বাভাবিকভাবেই যে বিমল গুরুংকে নিয়ে এতদিন তৃণমূলের প্রবল বিরোধিতা ছিল, সেই বিমল গুরুং এনডিএ ছাড়ার ঘোষণা করায় বিজেপি যে অনেকটাই চাপে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বলা বাহুল্য, 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জিটিএ গঠন করা হয় এবং তারপর জিটিএ চেয়ারম্যান করা হয় তৎকালীন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দায়িত্বে থাকা বিমল গুরুংকে। পরবর্তীতে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব হন বিমল গুরুং। যার পরিপ্রেক্ষিতে অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য সরকার।

আর এরপরই বিজেপি ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন বিমলবাবু। পরবর্তীতে পাহাড়ে অশান্তি হতে শুরু করলে সেই বিমল গুরুংয়ের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তার দায়িত্ব দেওয়া হয় তার বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বিনয় তামাংকে‌। কিন্তু এবার যেভাবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন বিমল গুরুং, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই উজ্জীবিত হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে বিমল গুরুংয়ের মত হেভিওয়েট নেতা দীর্ঘদিন পর্দার আড়ালে থাকার পর যেভাবে তৃণমূলে যুক্ত হওয়ার কথা জানালেন, তাকে স্বাগত জানাতে শুরু করেছে শাসকদল। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের উপর ভরসা করে শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন এবং এনডিএ জোট ছাড়ার বিমল গুরুংয়ের সিদ্ধান্তকে আমরা সমর্থন করছি। পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে বিজেপিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শাসকদলের দাবি, বিজেপি গোর্খাল্যান্ডকে রাজনীতির জন্য ব্যবহার করেছিল। কিন্তু তাদের ছক সবার সামনে চলে এল। মাতৃভূমির শান্তি রক্ষায় এবং উন্নয়ন করতে পাহাড়ের সকল পক্ষকে এক সঙ্গে লড়াই করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি যখন 2021 কে পাখির চোখ করে লড়াই করতে উদ্যত হয়েছে, তখন বিমল গুরুংয়ের এইভাবে বিজেপি ছাড়া নিঃসন্দেহে ভারতীয় জনতা পার্টির চাপ বাড়িয়ে দিল। আগামীদিনে বিমল গুরুং যদি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হন, তাহলে তা যে বিজেপির কাছে আরও বড়সড় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে এই বিমল গুরুংয়ের বাড়তি সমর্থনের জন্য পাহাড়ের মাটিতে জায়গা করে নিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বিমল গুরুংয়ের বিরোধী নেতা বিনয় তামাং। ফলে বিমল গুরুং যদি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হন, তাহলে তাকে কতটা মেনে নেবেন বিনয় তামাংয়ের মত নেতৃত্বরা, তা নিয়েও যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

সব মিলিয়ে এবার বিমল গুরুং যদি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান, তাহলে আগামীদিনে পাহাড়ের রাজনীতিতে বিজেপি যথেষ্ট চাপে পড়বে বলে দাবি করছে একাংশ। পাশাপাশি তৃণমূলের বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাংয়ের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব মিটিয়ে শাসকদল কতটা বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!