একুশের মহাযুদ্ধ সত্যিই কঠিন! অবশেষে ‘অভিমান’ ভুলিয়ে তৃণমূল ফিরিয়ে নিল হেভিওয়েট নেতাকে! তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য August 17, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কাছে এক জোরদার প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে রাজ্যের বিজেপি দলটি। আগামী নির্বাচনে নিজদলের ভিত্তি মজবুত করতে মুখ্যমন্ত্রী দল ছেড়ে চলে যাওয়া অভিমানী তৃণমূল সদস্যদের যেমন দলে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছেন, তেমনি বহুকাল দলে ব্রাত্য হয়ে থাকা বা প্রায় কোণঠাসা হয়ে দীর্ঘকাল ধরে পড়ে থাকা নেতা-কর্মীদেরও তিনি পুনরায় উজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের সকলকে উজ্জীবিত করে, সক্রিয় করে আগামীর ভোটযুদ্ধে নামাতে উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতি ব্রাত্য হয়ে থাকার পর বহরমপুরের প্রাক্তন পৌর প্রধান নীলরতন আঢ্য আবার উজ্জ্বল হলেন তৃণমূল দলে। প্রসঙ্গত তৃণমূল নেতা নীলরতন আঢ্য বহরমপুরের পুরো প্রশাসক হিসেবে এলাকাবাসীর কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় আছেন। শোনা যায় একসময় কংগ্রেসের দাপুটে নেতা অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তার বিশেষ সখ্যতা ছিল। একসময় তিনি কংগ্রেস দলেরই কান্ডারী ছিলেন। তবে গত ২০১৬ সালে ১৬ জন কাউন্সিলারকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় তৃণমূল যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিনি জার্সি বদল করলেন। প্রসঙ্গত, নীলরতন আঢ্য মুশিদাবাদ তৃণমূল দলে একজন অভিষেক পন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত আছেন। তবে বেশ কিছু কাল ধরে মুর্শিদাবাদে চলেছিল অভিষেক- শুভেন্দু টক্কর। শুভেন্দু পন্থীরা অনেক বেশি শক্তিশালী ছিলেন অভিষেক পন্থীদের তুলনায়। যার ফলে অন্যান্য বেশকিছু তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মতো নীলরতন বাবুও তৃণমূল দলে অনেকটাই ম্রিয়মান হয়ে পড়েছিলেন।এ প্রসঙ্গে জনৈক স্থানীয় তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ‘‘সেই সময় মুর্শিদাবাদে শুবেন্দু অধিকারীর দাপট ছিল। শুভেন্দু-অভিষেক চাপা রেষারেষির ফলই এতদিন ভুগতে হচ্ছিল নীলুদাকে।’’ প্রসঙ্গত শুভেন্দু পন্থীদের দাপটে দীর্ঘদিন ধরেই দলে ফিকে হয়ে পড়েছিলেন নীলরতন আঢ্য। শোনা যায় গত দেড় বছরে দলের কোনো অনুষ্ঠানেই তিনি উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি তাঁকে ফোন করলে তিনি উত্তর দিতেন ‘অসুস্থ, কিংবা ‘বাইরে আছি’। দলের কোনো কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত না হওয়ায় দলের প্রতি অভিমানও করেছিলেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা গেছিল, ‘‘দলের কোনও কর্মসূচি তো আমায় জানানো হয় না।’’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একদিকে দলের প্রতি তাঁর যেমন অনেকটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছিল, তেমনি তাঁর বিরুদ্ধে উঠে আস্তে শুরু করেছিল, একের পর এক অভিযোগ। যেমন ছাপোষা দুর্নীতি, প্রকাশ্যে নিন্দামন্দ ইত্যাদি। এমনকি তাঁর বাড়িতে হামলা পর্যন্ত হয়েছিল। তাঁর সম্পর্কে মুর্শিদাবাদ তৃণমূল জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেছিলেন, ‘‘নীলরতন আঢ্য সম্পর্কে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই।’’ কিন্তু বর্তমানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জেলার সংগঠনের বেশকিছু রদবদল হয়। মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষকের পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারী অপসারিত হয়েছেন, পরিবর্তে মুর্শিদাবাদে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন অভিষেক-উদয় জুটি। আর তার ফলশ্রুতি হিসেবে এতোদিন দূরে থাকার পর অভিষেক পন্থীরা আবার সতেজ হতে শুরু করেছেন তৃণমূল দলে। ১৫ ই আগস্টের মঞ্চে দলের আরেকজন ম্রিয়মান সদস্য সৌমিক হোসেন সহ মঞ্চ আলোকিত করলেন নীলরতন বাবু। উচ্ছসিত নীলরতন বাবু এ প্রসঙ্গে জানালেন, ‘‘সৌমিক ডাকায় না এসে থাকতে পারলাম না। ও-ই তো এতদিন যোগাযোগ রাখত।’’ প্রসঙ্গত সৌমিক বাবুও নীলরতন বাবুর প্রতি বিশেষ প্রসংসার দৃষ্টিতে বললেন, ‘‘নীলুদা মঞ্চে থাকায় ভিড় দেখলেন। এমন নেতাকেই তো দলে চাই।’’ প্রসঙ্গত এদিন স্বাধীতা দিবস উপলক্ষে বহরমপুর পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে নীলরতন বাবু তৃণমূল দলের সদ্য নির্বাচিত কো-অর্ডিনেটর মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন। যা তৃণমূল দলে নীলরতন বাবুর উজ্জীবিত হয়ে ওঠার এক বিশেষ প্রমান বলেই মতামত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। আপনার মতামত জানান -